এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মুকুট রায়
১৪৫
কোদালে কাটিয়া মাটি উপরে দিবে চাপা।
চারিদিকে চাহিয়া দেখ্বে কোথারে মা বাপা॥৩৩
কিড়ায়[১] কাটিয়া মাংস সুখেতে ভুঞ্জিবে।
দিন-দুইনারির[২] সুখ কৈবা পইড়া রবে॥৩৫
আর ভাই মারফতি[৩] কথা এখন নিরবধি থুইয়া।
দিশা গাও খেরুয়াল ভাইরে সভার হুকুম লইয়া॥৩৭
তার পরে হইল কিবা শুন বিবারণ।
দুয়ে মিলি রসকলা করয়ে ভুঞ্জন॥৩৯
একদিন সন্ধ্যা বেলা জল-টুঙ্গি ঘরে।
দুইজনে বস্যা তারা আলাপন করে॥৪১
হেনকালে সন্ধ্যা দেখ গুজরিয়া যায়।
দুরান্ত দুষ্মন বনুয়া[৪] কিবান[৫] করে হায়॥৪৩
মারিল বিষের তীর কুমারের বুকে।
জমিনে পড়িল কুমার—লহু[৬] ছুটে মুখে॥৪৫
কলিজা ভেদিয়া তীর পিষ্ঠেতে বাইরল।
দেখিয়া বনেলা কন্যা কোলে তুইল্যা লইল॥৪৭
আহা আহা পরাণের পতি এমুন হইল।
কেমুন দুষ্মনে জানি এমুন করিল॥৪৯
আঁখি মেইলা চাও বান্ধুই আঁখি মেইলা চাও।
আমারে একেলা থুইয়া কইবা[৭] চল্যা যাও॥৫১