এই দিকে হইল কিবা শুন বিবারণ।
মড়ার গায়েত করে কীড়ার দংশন॥১২১
কান্দে বনেলা কন্যা হরদিশ[১] বেহুরা[২]।
দুই হাতে বাছ্যা ফেলে মড়ার শরীলের কীড়া॥১২৩
মাংস খসিয়া পড়ে, হাড় রইল খালি।
কান্দে বনেলা কন্যা পতি পতি বলি॥১২৫
হেনকালে বত্রিশ পেগাম্বর।
জল্দি চলিয়া আইল জঙ্গলা ভিতর॥১২৭
নেয়াজার সরের রাজা তোমার যে বাপ।
জঙ্গল ঢুঁড়িয়া কন্যা পাইলে বড় তাপ॥১২৯
প্রভুর কেরামতে[৩] আমি এহারে জিয়াই।
তুরন্ত[৪] চলিয়া যাও তুমি নেয়াজার সরে॥১৩১
আমি যে জিয়াইব পতি না দেখিবা তুমি।
মনিষ্যি দেখিলে করা হইবে হয়রানি[৫]॥১৩৩
জিয়ন মরণ দশা মুরশীদের হাতে।
মরায় না আসে পরাণ মানুষ থাকিতে॥১৩৫
বিখালী[৬] বনের মাধ্যে জিউদান দিব।
পউখ পাখালী কারে সামনে না থাকিব॥১৩৭
এই কথা শুনিয়া কন্যা জমিনে ঢলিল।
কেমুনে জানিমু পতি পরাণে বাঁচিল॥১৩৯
এই কথা শুন্যা তবে রসুল পেগাম্বর।
একে একে জোরা দিল বত্রিশ পঞ্জর॥১৪১
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মুকুট রায়
১৪৯