বিধারতা সৃজিল কইরা এমন কপাল পোড়া।
ভিক্ষা দাওরে নাগরিয়া লোক আন্ধা দুয়ারে খাড়া॥
কেমুন জানি সোণার দেশ সোণার মানুষ আছে।
কাঞ্চন পুরুষ কেন ভিক্ষা লইতে আইছে।
কাঞ্চন পুরুষ কেন দুয়ার খাড়া হইছে॥
কাঞ্চনা সোণার অঙ্গ গো আর গোরুচনা।
না দেখ্যাছি গো এমন রূপ কি দিব তুলনা॥
দেখিতে সুন্দর রূপরে শ্যাম শুকপাথী।
কোন্ পামর বিধারতা করলো অন্ধ দুটি আঁখি
তার অন্ধ দুটি আঁখি॥
শুন শুন রাজার কন্যা কহি যে তোমারে।
কাঞ্চন পুরুষ এক তোমার দুয়ারে॥
কান্ধেতে ভিক্ষার ঝুলি সোণার বরণ।
আখ্খি দুইটি অন্ধ তার বিধাতা দুষ্মন॥
দেখ্বে যদি সুন্দর কন্যা চল শীঘ্র করি।
কিবা ভিক্ষা দিবে তারে সঙ্গে লহ করি
দিশা-ওরে ও মন পবনের নাও।
কন্যা সঙ্গে ত লও করি॥
কাঞ্চাসোণা গোরুচনা রূপ না যায় পাশুরা।
এক নয়ানে ঝরে হাসি তার আর নয়ানে ধারা লো
কন্যা, দেখবে চল ত্বরা॥
(২)
দিশা— ওরে ও মন পবনের নাও।
কোন্ দেশ হইতে আইছ তুমি
কোন্ দেশে যাও, ওরে মন পবনের নাও॥