অমিত[১] ছাড়িয়া কেন বিষ হইল ভালা।
বুঝিতে না পার কন্যা গরল বিষের জ্বালা॥
হিয়ায় না কাট কন্যা আপনার নুখে[২]।
দুর্জ্জনিয়া[৩] চিন্তারে থান নাই সে দেহ বুকে॥
বিদায় দেও রাজকন্যা আপন দেশে যাই।
রাজত্বির সুখে আমার কোন কার্য্য নাই॥”
দিশা—
তোমায় ছাইড়া নাই সে দিব।
নয়ানের কাজলী কইরা বন্ধু নয়ানে পইরাব॥
“বন্ধুরে আরে বন্ধু যেদিন শুন্যাছি তোমার বাঁশী।
কুল গেল মান গেল বন্ধু হইলাম তোমার দাসীরে॥
অন্তরারে কইয়া বুঝাই বন্ধু বুঝ নাই সে মানে।
মন যমুনা উজান বইল বন্ধু তোমার বাঁশীর গানেরে॥
তিল দণ্ড না হেরিলে হইরে দেওয়ানা[৪]।
বাঁশী বাজাইতেরে বন্ধু মায় কইরাছে মানারে॥
মানায় ত না মানে মন দ্বিগুণা উথলে।
তোষির[৫] আগুনে যেমুন ঘুষ্যা ঘুষ্যা[৬] জ্বলেরে॥
কিসের রাজ্যতি সুখ তাহাতে কি হবে।
মনের ফরমাইস[৭] বল কেবা যোগাইবেরে॥
কাঞ্চনা বাঁশেতে বন্ধু ধরিয়াছে ঘুণ।
(আমার) অন্তরাতে লাগল আগুন বন্ধু চক্ষে নাই সে ঘুমরে॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৪
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা