পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চন্দ্রাবতীর রামায়ণ
২৪৩

কান্দিল মায়ের পরাণ গো এহি কথা শুনি।
দরদর করি রাণীর চক্ষে বহে পানি॥৩৪
বনের পশুপক্ষী যারা গো সন্তানে রাখে বুকে।
তারাও ঝুরিয়া মরে গো পুত্র-কন্যার শোকে॥৩৬
কান্দিয়া রাবণে রাণী গো জানাইল বারতা।
“নষ্ট করিও না ডিম্ব গো রাখ মোর কথা॥৩৮
না ভাইঙ্গ না পুইর ডিম্ব গো আমার মাথা খাও।
যদি নাই রাখ ডিম্ব গো সায়রে ভাসাও॥”৪০

রাণীর কথায় রাবণ গো কি কাম করিল।
পঞ্চজন কারিগর গো ডাকিয়া আনিল॥৪২
বানাইল কৌটা এক গো সন্ধান করিয়া।
তাহাতে ভরিল ডিম্ব গো যতন করিয়া॥৪৪
সোণার কটরা মধ্যে গো রূপার খিল দিয়া।
সায়রে ভাসাইলা ডিম্ব গো ভবানী স্মরিয়া॥৪৬
ঘনাইয়া আইল সন্ধ্যা গো রবি বসে পাটে।
এমন সময় লাগ্‌ল ডিম্ব গো জনক ঋষির ঘাটে॥৪৮

(৬)

মাধব জালিয়া ও সতা জাল্যানী

মিথিলা নগরে ছিল গো মাধব জালিয়া।
জাল বায় মাছ ধরে গো ঘাটে দেয় খেয়া॥
নগরের মাঝে মাধব গো সবার দীনহীন।
হাটের চাউল ঘাটের পানি গো দুঃখে যায় দিন[১]


  1. হাটের····দিন=নিজের ক্ষেত নাই, হাট হইতে চাল কিনিয়া খাইতে হইত; নিজের পুকুর নাই পরের ঘাট হইতে জল লইয়া খাইতে হইত।