বৃক্ষতলে দাণ্ডাইল গো দেবর লক্ষ্মণ।
ধনুহাতে দিবা নিশি গো রহে জাগরণ॥১৬
দেবরের গুণ আমি গো না পারি কহিতে।
অরণ্য ভাঙ্গিয়া গো ফল তুলি দেয় হাতে॥১৮
রসাল বনের ফল গো পাতার কুটির পাইয়া।
অযোধ্যার রাজ্যপাট গো গেলাম ভুলিয়া॥২০
লক্ষ্মণ কানন হইতে গো আনি দেয় ফল।
পদ্মপত্রে আনি আমি গো তমসার জল॥২২
চরণ ধুয়াইয়া প্রভুর গো তৃণ শয্যা পাতি।
মনের আনন্দে কাটি গো বনবাসের রাতি॥২৪
কি করিবে রাজ্যসুখ গো রাজসিংহাসনে।
শত রাজ্যপাট আমার গো প্রভুর চরণে॥২৬
ভোরেতে উঠিয়া মালা গো গাঁথি বনফুলে।
সুন্দর দীঘল প্রভুর গো বাহু উপাধান।
প্রত্যেক রজনী সীতার গো এমতি সয়ান॥৩০
মৃগ ময়ূর আর গো বনের পশুপাখী।
সীতার সঙ্গের সঙ্গী গো তারা সীতার দুঃখে দুঃখী॥৩২
শুকসারী ছিল দুই গো পঞ্চবটী বন।
বনে হইল প্রতিবাসী গো তারা দুইজন॥৩৪
কভু বা শুনায় গান গো শুক আর সারী।
কানন বেড়াই গো প্রভু রামের গলা ধরি॥৩৬
কায়ার সঙ্গেতে যেমন গো ছায়ার ঘূরণ।
পর্ব্বত-কাননে ঘুরি বেড়াই গো তিনজন॥৩৮
আর ত দিনের কথা গো শুন সখীগণ।
কপালে আছিল সীতার গো এতেক বিড়ম্বন॥৪০