পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫৮
পূর্বববঙ্গ গীতিকা

‘হরিণ ধরিতে আমি গো চলিলাম বনে।
সীতারে রাখিও লক্ষ্মণ অতি সাবধানে॥’২৬

এত বলি প্রভু রাম গো করিলা গমন।
কতক্ষণ পরে শুনি গো প্রভুর ক্রন্দন॥২৮
‘কোথারে লক্ষ্মণ ভাই গো শীঘ্র কইর‍্যা আইস।
রাক্ষসের হাতে মোর প্রাণ হইল নাশ॥’৩০

শুইয়াছিলাম আমি গো বসিলাম উঠিয়া।
আর বার কহে প্রভু গো লক্ষ্মণে ডাকিয়া॥৩২
‘শুন শুন দেবর গো আমার মাথা খাও।
প্রভুরে রক্ষিতে তুমি শীঘ্র কইরা যাও॥’৩৪

হাতেতে ধনুর শর গো চলিলা লক্ষ্মণ।
চিন্তায় আকুল প্রাণ গো পবন-গমন॥৩৬
একাকিনী বনমধ্যে গো আমি অভাগিনী।
ভুজঙ্গ চলিল যেমন গো এড়াইয়া মণি॥৩৮
এত দুঃখ ছিল সীতার গো যদি জানিতাম।
মৃগ ধরিবারে প্রভুর গো সঙ্গে যাইতাম॥”৪০

(৪)

“শিবশঙ্কর নাম গো লইয়া আচম্বিতে।
দণ্ডাইল যোগী এক গো আসিয়া দ্বারেতে॥
দণ্ড-কমণ্ডলুধারী গো অঙ্গে মাখা ছাই।
দুয়ারে আসিয়া বলে গো ‘ভিক্ষা কিছু চাই॥’
‘কি ভিক্ষা দিব গো আমি শুনহ গোসাঞ।
শূন্যগৃহে একাকিনী গো প্রভু সঙ্গে নাই॥
আজি যদি থাকতাম আমি গো অযোধ্যা ভবনে।
ধামায় মাপিয়া গো দিতাম রত্নাদি কাঞ্চনে॥’