কান্দিয়া নয়ন গলে গো মৈলান হইল কেশ।
দিবানিশি জাগে প্রভুর গো সন্ন্যাসীর বেশ॥৩২
পাগলিনী হইল সীতা গো নাহি কিছু জ্ঞান।
প্রভুরে দেখিতে শুধু গো রাখিলাম প্রাণ॥৩৪
মরণে বাসনা নাই গো চরণ পাইবার আশে।
সীতার চক্ষের জলে গো অশোক-বন ভাসে॥”৩৬
(৫)
“আষাঢ় মাসেতে দিন রে ঘন বরিষণ।
তৰ্জ্জিয়া গৰ্জ্জিয়া আসে গো যত দেয়াগণ॥২
মেঘে তত নাইকো পানি সীতার চক্ষে যত জল।
কান্দিয়া ভিজাই আমি গো অশোকের তল॥৪
বিষ খাই জলে ডুবি গো বুঝিতে না পারি।
সান্ত্বনা করিয়া রাখে গো সরমা সুন্দরী॥৬
শ্রাবণ মাসেতে আমি গো দেখিনু স্বপন।
হইল প্রভুর সঙ্গে গো সুগ্রীব-মিলন॥৮
ভাদ্রে স্বপন দেখি গো দিবসে জাগিয়া।
অশোকের ডালে পক্ষী গো বসিল উড়িয়া॥১০
পক্ষী নয় পক্ষী নয় গো প্রভু রামের চর[১]।
বীর হনুমান বৈসে গো ডালের উপর॥১২
কত ভাবে মতে গো সীতারে বুঝায়।
প্রাণ ত বুঝে না গো সীতার হইল বড় দায়॥১৪
রামের অঙ্গুরী বীর গো দেখাইল মোরে।
অঙ্গুরী দেখিতে সীতার গো অশ্রু পড়ে ধারে॥১৬
পাইল রামচন্দ্র গো সীতার বারতা।
তারপর শুন গো সীতা উদ্ধারের কথা॥১৮
- ↑ পক্ষী নয়......চর=ঠিক অরূপ কথা মহুয়ায় আছে।