আকড় অতসী চাপা ফুট্যা হইল বাসি।
আজি হইতে হইলাম তোমার শ্রীচরণের দাসী॥”৩৪
যত ইতিকথা কন্যার ভাইয়েরে জানায়।
কুবুদ্ধি রাজার পুত্রু রহে অছিলায়[১]॥৩৬
রাজপুত্র জোড়-মন্দিরের কপাট লাগাইয়া শুইল, খায় না ঘুমায় না। রাজ্য জুড়িয়া হুলুস্থুল। রাজারাণী পাগল। রাজপুত্র কেন এমন, জান্তে জান্তে জান্ল রাজপুত্র এক ধন চায়। কি ধন চায়। “সাপের মাথার মণি।” রাজা সদাগররে ডাক্যা কইল, “আজ থাক্যা ছয় মাসের মধ্যে সাপের মণি আন্যা হাজির কর, নইলে জান-বাচ্ছার[২] গর্দ্দান যাইব।” সদাগর চিন্তায় পড়ল। বাণিজ্য কইর্যা মাথার চুল পাকাইছে, দাঁত পড়ছে, রাজার বন্দরে কত কত রাজার দেশে গিয়াছে,— সাপের মণি কোনো দিন দেখে নাই। লোকে কয় শুনা কথা—
বড় দুঃখিত হইল সদাগর কহে পুত্রে আগে।
“এতক দিন পরে পুত্রু খাইল জংলার বাঘে॥৩৮
রাজার হুকুম হইল আনতে সাপের মণি।
কোথায় জ্বলে সাপের মণি শব্দেও না শুনি॥”৪০
সাধু-পুত্র কহে “বাপগো না চিন্তিও তুমি।
বাণিজ্য কারণে আইজ যাইবাম আমি॥৪২
অতিবৃদ্ধ অইলা তুমি, ঘরে বইস্যা খাই।
ডিঙ্গা সাজাইয়া দেও গো বাণিজ্যেতে যাই॥”৪৪
মায় মানা বাপে মানা, মানা নাই সে শুনে।
যাইব সাধুর পুত্রু বাণিজ্য কারণে॥৪৬
“শুন শুন সুন্দর কন্যা কহি যে তোমারে।
ছয় মাস থাক তুমি আমার বাপের পুরে॥৪৮