রাজার আদেশ হইল আন্তে সাপের মণি।
বিরধ[১] বাপে না পাঠাইব যাইব আপনি॥”৫০
ধরিয়া চাঁচর কেশ কন্যা পা দুখানি মুছে।
“এইত চরণ ছাড়া আমার সংসারে কি আছে॥৫২
ভালমন্দ নাই সে জানি অন্য নাই সে চাই।
বিদেশে বিপাকে রক্ষা করুন গোঁসাই॥”৫৪
লাল নিশান, নীল নিশান উড়াইয়া সদাগর-পুত্রু যায় বৈদেশে। সাত শ ডঙ্কা ঘন ঘন বাজে। কে যায় বাণিজ্যে? সদাগরের পুত্রু। নগরের লোকে জয় জয়। ছয় মাস পর সাধু-পুত্রু দেশে ফির্ল। সাপের মণি নাই, আচাভুয়া[২] কথা। সদাগর-পুত্রু পা’র[৩] পর্ব্বত ভাইঙ্গা হাজার-বিজার[৪] সাপ ধইরা আন্ছে; লগে[৫] তার একদল বাদ্যা—শঙ্খরাজ, মণিরাজ, মাছুয়া, চিলাবাকা, খৈয়াগোক্ষুরা। সাপ আছে মণি নাই। রাজা গোঁসা হইল। অত শত সাপের মণি সদাগর-পুত্রু সম্বরিয়া লৈছে; রাজারে ফাঁকি দিছে। এই সাপ দিয়া সদাগর-পুত্রুরে খাওয়াও, তবে আমার পুত্রু বাঁচে। রাজার হুকুম পাইয়া লোক জনে সদাগর-পুত্রের হাতে গলায় ছাইন্ধা বাইন্ধা সাপের মুখে ফালাইয়া দিল।