বান্ধিল ডাগর ভেরা[১] নগরের লোকে।
নেহালি[২] নেহালি সাধু পুত্রু মুখ দেখে॥৬৩
ভেরায় তুলিয়া পুত্রু ভাসাইল জলে।
কান্দিয়া বেকুলা কন্যা ভাসে আখ্খি জলে॥৬৫
“শুন শুন ধর্ম্মের রাজা কহি যে তোমারে।
সাগর শুকাইল আমার কপালের দোষে॥৬৭
বিরখ নীচে খাড়াইলাম ছায়া পাইবার দায়।
সেই বিরখ জ্বলিয়া গিয়া হইল অঙ্গার॥৬৯
তুমি ত ধর্ম্মের রাজা রাজ্য অধিপতি।
পতির সঙ্গে ত যাইতে কর অনুমতি॥৭১
সদাগর শ্বশুর ওগো মোর কথা ধর।
স্বামীর সহিত যাইতে গো অনুমতি কর॥৭৩
জান না না জান বিয়া গো করিল আমারে।
অল্প কালে ত পতি গো ছাইড়া যায় সে মোরে॥৭৫
কার বা বাড়া ভাতে গো দিয়াছিলাম ছালী[৩]।
কপাল খাইতে মোরে কে দিলরে গালী॥৭৭
কোন্ কাঁচী[৪] বাছুরার[৫] গলা না টিপিয়া।
মায়ের উরের[৬] দুধ খাইছিলাম কাড়িয়া॥৭৯
কার পুত্রু খাইলাম জানি[৭] বাঘুনী হইয়া।
কার ধন বা হইরাছিলাম[৮] গো মাথায় বাড়ি[৯] দিয়া॥৮১
সাপিনী হইয়া খাইলাম কোন্ বা বাসার ছাও[১০]।
কোন্ দোষে পতি আমার, মোরে ছাইড়া যাও॥”৮৩
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সন্নমালা
২৮৯