পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রতন ঠাকুরের পালা
৩৩৭

মরিবার কালেরে বন্ধু না পাইলাম দেখা
এই সে ছিল অভাগিনীর সাত করমের লেখা রে বন্ধু—
আর ত সময় নাই!২৭
তোমরা যদি কেউ বুঝগো আমার মনের দাগা
বন্ধু আইলে কইও নাগো আমার মরণ কথা রে বন্ধু—
আর ত সময় নাই!৩০
আর ত সময় নাইরে বন্ধু আর ত সময় নাই—৩১

 [রঙ্গিলার মোহ কাটাইয়া যেদিন রতন ঠাকুর আবার সজিন্তার দেশে ফিরিল সে দিন সে আর তার প্রিয়তমাকে পাইল না। সজিন্তার দীর্ঘশ্বাসের মত বাতাস আর বন-সোহাগী পাখীরা কাঁদিয়া কাঁদিয়া তাহাকে কন্যার মরণের খবর দিল।]

এই কথা শুনিয়া রতন ঠাকুর পাগল হইল—
মাও বাপ বাড়ী ঘর সকল ভুল্যা গেল রে!
রতন ঠাকুর! ঠাকুর আরে!
মাও কান্দে পন্থ পানে চাইয়া!৩৫
দেশে নাই সে গেল রে ঠাকুর না ফিরিল ঘরে
দেশে দেশে রতন ঠাকুর পাগল হইয়া ফিরে রে—
রতন ঠাকুর! ঠাকুর আরে!
মাও সে কান্দে পন্থ পানে চাইয়া!৩৯

সমাপ্ত


৪৩