জল থল বিরখ আমার কথা শুনরে।
রাজার বাড়ীর কথা শুনরে—
রাজার বাড়ীর হাতি ঘোড়া লেখা নাই সে জোখারে॥
দুয়ারে দুয়ারে পাড়া,[১] রাজমন্দির চুড়া।
চান্দ সুরুজে ছুইয়া হাসেরে॥
এহি ধন এহি দৌলত কোন্ জনে দিল।
করম পুরুষ দিলাইন বর রাজা হইল ধনেশ্বর॥
অহঙ্কার হইল মনে বড় রে।
বৃদ্ধ বরাম্মনের বেশে গোঁসাঞ আইস্যা ছলনা করিল রে॥
রাত্তির না দুপরিয়া কালে—অতিথি ডাকিয়া বলে
খিদায় তিষ্টায় প্রাণ জ্বলে রে
অন্ন দেরে নগরবাসী অন্নের কাঙ্গালে।
হেনকালে নাগরিয়া লোক ঘুমে অচেতন।
ডাকিলে না শুনে কথা অতিথি পাইল বেথা
বিমুখ হইল ততক্ষণ॥
রাজার ভাণ্ডারী যত ডাক শুনিয়া না শুনে।
রাজারাণীর কপাল দেখ পুড়িল আগুনে॥ (১—৩৬)
রাজা কিন্তু কিছুই জানে না—না জানে কিছু রাণী। জোড় যোগলা-মন্দির মাঝে তারা শুইয়া নিদ্রা যায়। রাত্রি গেছে আড়াই পর আর আছে দেড় পর। করমপুরুষ রাজারে স্বপন দেখায়।
(২)
সুখনিদ্রায় আছরে রাজা জোড় মন্দির ঘরে।
অতিথি বৈমুখ হৈল আজি তোর রাজপুরে॥
- ↑ পাড়া=পাহারা