এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮৮
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা
দুই হস্ত তোমার পতি আমার গলার সাতনালা[১]।
তোমার সোহাগের ডাক আমার কণ্ণদোলা[২]।
তোমার পায়ের ধূলা অঙ্গ আভরণ।
তুমি আমার হিরা মণি তুমি সে কাঞ্চন॥
নয়নের জলেরে পতি তোমার পা ধুয়াই।
সেই পা মুছাইয়া কেশে বড় তিপ্তি পাই॥
সেইত না ধুয়ার পানি কেশে সাঁচি তেল।
মা বাপের পুরীর সুখ বড় হইতেই গেল॥
তোমার চরণ পতি আমার উত্তম বিছান।
ধরম করম তুমি জাত্তি কুল যে মান॥”
এহি মত করিয়া সতী কন্যা পতিরে বুঝায়।
বার ভাণ্ডারের ধন কাঙ্গালে বিলায়॥
রাজ্যের যতেক কাঙ্গালিয়া না যায় রাজার বাড়ী।
ভিক্ষা লইতে আস্যে তারা মালী রাজার বাড়ী॥ (১—৩৪)
(৮)
কথার ভাবে—
রাজার সাত পুত্র রিশাইয়া[৩] সার। কি? আমার বাপের মালী। সে হইল ‘মালী রাজা’। তার বাড়ীত যত কাঙ্গাল গরীবের থানা। তার জয় জয়কার। বুড়া বাপ না থাকলে কোট্টালে কাটত মাথা। শুন শুন ভাণ্ডারী মালীরে কাণাকড়ি দিও না।