ভাণ্ডারে কপাটে তিন তালা।
দেখবাম কেমনে বাঁচে শালা॥
আমার ঘোড়া আমার হাতী।
আমার ভাণ্ডারের ধন লইয়া করে চিকনাতি[১]॥
সাত রাজপুত্রের হুকুমে দুয়ারে তালা পড়ল।
রাজ্যের দুঃখী কাঙাল সব ভিখ পায়।
কাণাকড়ির হুকুম নাই কেবল রাজা মালীর দায়॥
মায়ে শুন্ল কি?
বড় দুঃখে পইড়াছে দরদের ঝি॥
তখন দাসীরে কইল। “ধাই দাসী বলি তরারে। ক্ষুদকণা যা থাকে দেও আমা ঝিএরে।” পুকাইয়া[২] শুকাইয়া তারা দেয় ক্ষুদকণা। এক কাণা ভরে পেটের আর এক থাকে উন্না। রাজকন্যার দুঃখ নাই। মুখে তার হাসি।
সুখেরে বিদায় করিয়া দুঃখ কর্ছে সাথী। কাঙ্গাল গরীব যারা তারা অত জানে না। পিত্যহের মত তারা মালীরাজার দুয়ারে খাড়া।
গানে-
তখনও ত সতী কন্যা কোন্ কাম করে।
অঙ্গের যত গয়নাগাটি বিলায় সবাকারে॥
কাণের না কণ্ণদোলা গলার না হার।
একে একে দিল কন্যা ভিক্ষুক বিদায়॥
হেন কালেতে দেখে দৈবের লিখনি।
ভিক্ষা লইতে আইল এক ভিক্ষাশূর বামুন