পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজা তিলক বসন্ত
৩৯৯

তাহারে খাইয়াছে বইন গো জঙ্গলার বাঘে।
কপালের দুঃখ তোমার খণ্ডাইব কে?
বাপত দুষ্মন হইয়। ঘটাইল দায়।
এত এত রাজার পুত্র বিমুখ হইয়া যায়॥
এমুনি শীতল দেখ চান্দের না ধারা।
শেষ কালে খাইল তারে দুরন্ত বাদুরা॥
এমুন সোণার পউদ মধুতে ভরিয়া।
তাহার ভাণ্ডাইয়া খাইল দারুণ গোবরিয়া॥
মরবার কালে অন্ধ মালী কইয়া গেল তোরে।
পরিচয় কথা নাকি জিজ্ঞাসিলা তারে॥
হস্তের না ছিরি অঙ্গুট দিব পরিচয়।
সেইত অঙ্গুইট হাতে তুল্যা লয়॥”

কান্দন কাটি নাই কন্যার মুখে নাই সে রাও।
ছুটিবার কালে যেমুন কাল বৈশাখের বাও॥
“শুন শুন ছিরি অঙ্গুট কহি যে তোমারে।
মিথ্যা কি কহিয়া ভাই ভাড়াইল মোরে॥
কহ কহ ছিরি অঙ্গুট সত্য পরিচয়।
বনের মধ্যে কি হইল সকল পরিচয়॥”
তবেত ছিরি অঙ্গুইট সকল কহিল।
একে একে সকল কথা পরিচয় দিল॥

কোন বা দেশের রাজা ছিল কোন্ বা দেশের রাণী।
একে একে বলে কন্যায় সকল সত্যবাণী॥
তবে রাজার কন্যা পবনকুমারী।
পবনের গতি গেল রাজার রাজ্য ছাড়ি॥
কত দেশ কত নদী পার যে হইল।
কত খনে কত দুঃখু পরাণে পাইল॥ (১—৫৪)