বুড়ী রৈল কইন্যার ঘরে মন করি থির[১]।
মাঝির গাঁও হৈতে একদিন আইলো মোছাফির[২]॥
ফিস্ফিস্ কথা কহে বুড়ীরে গোপনে।
কি যুক্তি করিছে তারা আমিনা ন জানে॥
খাইয়া দাইয়া মোছাফির হইল বিদায়।
রাতুয়ার[৩] কথা কহি শুন সমুদায়॥
আমিনা সোন্দরী যখন ঘুমে অচেতন।
দুয়ার খুলিয়া বুড়ী দিলরে তখন॥
তিনজন আসি তারা সামাইল[৪] ঘরে।
পরথমে বাঁধিল মুখ হাত তার পরে॥
তার পরে পা বাঁধিয়া কি কাম করিল।
আমিনারে কাঁদৎ লৈয়া ঘরের বাহির হৈল॥
কাঁদিতে ন পারে কইন্যা লড়িতে ন পারে।
যাইবার কালে একবার চাইল গুণর[৫] মারে॥
হায়রে দুনিয়াদারী কন্তে পাইবা সুখ।
পাথরের মত দড় হৈয়ে মায়ের বুক॥
ন বুঝিলা আমিনার মা কি করিলা কাম।
কাঞ্চাসোণা বেচিয়ারে পাইলা কাঁচর দাম॥
সরেঙ্গা নুকা[৬] যে এক ঘাটে বাঁধা ছিল।
আমিনারে আনি তারা নুকাতে তুলিল॥
তুলিয়া নুকার মাঝে খুলি দিলা বান[৭]।
বুক কুডি কুডি কইন্যা করে আনছান[৮]॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নছর মালুম
৩৭