(৫)
থল কুলের ভুমা রাজা ক্ষেমতা অপার।
হাত্তী ঘোড়া লোকজন আছে বহুতার॥
ছিপাই[১] লস্কর যত লেখা যোখা নাই।
ধন দৌলত রাজার গুণ্যা না বাড়াই[২]॥
মত্তের না বালু যত আসমানের তারা।
সেই মতন রাজার ধন গুণ্যা না পাই সারা॥
থল বসন্ত নামে ছিল রাজার কুঙার[৩]।
দেখিতে সুন্দর রূপ কার্ত্তিক কুমার॥
যেই দেখে সেহি জনে রূপেরে বাখানে।
রাজপুত্রের রূপ দেখ চন্দ্রকলা জিনে॥
প্রথম যৌবন পুত্র যে পুরী উজ্জ্বলা।
রাজা শিখায়েছে তারে নানা শাস্ত্রকলা॥
এক দিনের কথা সবে শুন দিয়া মন।
শিকারে যাইবা কুমার কর্যাছে মনন॥
“শুন শুন পিতা ওগো কহি যে তোমারে।
শিকারে যাইব আমি পাইলা বনের মাঝে॥”
শুনিয়া বনের কথা রাজার লাগে চমৎকার।
বাঘ ভালুক ধত আছে লেখা নাই সে তার॥
রাজপরী দলে দলে ভ্রময়ে তথায়।
সেই বনে যাইতে পুত্রে মানা করে মায়॥
তবেত রাজার পুত্র মানা না শুনিল।
লোকলস্কর লইয়া কুমার শিকারে মেলা দিল[৪]॥