পুরব হইতে আসে পূবের বাজ্জনী।
খড়কর তাগী সঙ্গি জয়ঢাকের ধ্বনি॥
পশ্চিম হইতে আইল চিনি বা না চিনি।
বহুত লস্করা সঙ্গে একত বাজুনি॥
শুন শুন বামুন রাজা কহি যে তোমারে।
বাদ্য বাজাইতে আইলাম তোমার না পুরে॥
হায় ভালা রাত্রি নিশাকালে গো বিয়া ঢোলে মাইল তালি।
বামুন রাজার দেশে ভালা উঠ্লো উত্তরুলি॥
হেন কালেতে দুষ্মন মুণ্ডা কোন্ কাম করে।
ছাড়িয়া বাজুনিয়ার সাজ ধনু লইল হাতে॥
বাচ্ছ্যা[১] মারে বিষের তীর বামুন রাজার লস্করে।
কাত্যালীর কলাগাছ যেমন উপড়াইয়া পড়ে॥
বিয়ার সাজ থুইয়া ভালা কুমার কোন্ কাম করিল।
রণের না সাজ কুমার জল্তি[২] পড়িল॥
আনিল রণের ঘোড়া কুমার হইল সোয়ার।
মুণ্ডার উপরে পড়ে করি মার মার॥ (১-৩৪)
(১১)
“হায় বিকালির গাঁথা মালা হায় না হইল বাসি।
মাথার না ফুলের মডুক[৩] না হইল বাসি॥
আর না বাজাইও ঢোল বিয়ার বাজুনিয়া।
কপাল পুড়িল মোর খেড়ের আগুন দিয়া।
আর না বাজাইও তোরা আমার বিয়ার বাঁশী।
না ফুটিতে বিয়ার ফুল কলির মুখ বাসি॥