পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা ১৯১৬ খৃষ্টাব্দে বৰ্দ্ধমানে বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মিলনের অষ্টম বৈঠকের সভাপতি মহামহোপাধ্যায় ডাক্তার হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় নানা শাস্ত্ৰ হইতে প্রমাণ wpAddisgegayungin serranin we sive“ “ “ سياليR n- ڈ উদ্ধত করিয়া দেখাইয়াছিলেন যে—বাঙ্গালীরাই প্রথমে হাতী ধরিবার কৌশল জগৎকে শিক্ষা দিয়াছিলেন । তিনি বুঝাইয়াছিলেন, বঙ্গের উত্তর-পূর্বপ্ৰান্তস্থিত গভীর অরণ্যসমূহ হস্তিজাতির সর্বপ্ৰধান আবাসস্থল এবং এই হস্তিসম্পাদই বঙ্গের অন্যতম গৌরব। শাস্ত্রী মহাশয় প্রমাণ করিয়াছেন যেবাঙ্গালীরাই হস্তিরোগের সর্বপ্রথম চিকিৎসক। খৃষ্ট জন্মিবার চারি শতাব্দী পূর্বে কিংবা ততোধিক প্রাচীন সময়ে ‘পািলকাপ্য' নামক পূর্ব-ভারতীয় কোন লোক হস্তিচিকিৎসা-সম্বন্ধীয় “হস্ত্যায়ুৰ্বেদ” পুস্তক রচনা করেন। লোহিত নদ অর্থাৎ ব্ৰহ্মপুত্ৰ-বিধৌত অরণ্যসন্ধুল প্রদেশে পালিকাপ্য জন্মগ্রহণ করেন। এই প্রদেশ এখন পৰ্য্যন্ত হস্তীর প্রধান আবাসভূমি বলিয়া স্বীয় চিরন্তন গৌরব রক্ষা করিয়া আসিয়াছে। বহু শতাব্দী পরে আবুল ফজল আইনই-আকবরীতে লিখিয়াছিলেন যে, দিল্লীশ্বরের হস্তিশালার শ্রেষ্ঠ হস্তীগুলি ব্ৰহ্মপুত্রনদের উভয়-পার্শ্ববৰ্ত্তী গিরিসস্কুল প্রদেশ হইতে সংগৃহীত। এদেশের প্রাচীন প্ৰবাদ যে, পালিকাপ্য অৰ্দ্ধেক হস্তী ও অৰ্দ্ধেক মানুষএক অদ্ভুত রকমের মিশ্র আকৃতিবিশিষ্ট ছিলেন। তাহার পিতার নাম শ্যামগায়ন। পূর্ব-ভারতীয় পর্বতমালার সানুদেশে ব্ৰহ্মপুত্র-বিধৌত কোন স্থানে এই শ্যামগায়ন ঋষি বাস করিতেন। পূর্বোক্ত প্রবাদে এ কথাও জানা যায় যে, পালকাপ্যের মাতা , হস্তিনী ছিলেন । সম্ভবতঃ ইনি কোন অনাৰ্য-বংশসস্তৃতা নারী। সেই প্রাচীন যুগে অনাৰ্য্যেরা বিজয়ী আৰ্যদিগের নিকট হইতে এই প্রকারের নানারূপ উদ্ভট উপাধি প্ৰাপ্ত হইতেন । আমাদের পুরাণগুলিতে নাগ, বানর, পক্ষী প্ৰভৃতি উপাধিবিশিষ্ট অনাৰ্য্যদের উল্লেখ সর্বদা পরিদৃষ্ট হয়। na