পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هو أن لا (৮) ‘বাস্যা” ( পৃঃ ২৭ ) কথাটির অর্থ মহিমবাবুর মতে স্বর্ণকার ( সেকরা )। চলিত কথায় কিন্তু সোঁকরার মজুরীকে ‘বানি’ বলে। আমার মনে হয় উভয় অর্থই চলিতে পারে, তবে মহিমবাবুর অর্থই অপেক্ষাকৃত ভাল । (৯) “আকাল মাকাল' ( পৃঃ ২৯) কথাটি মহিমবাবুর মতে শিবজটাস্থিত সপদ্বয়, ‘কাল’ ও ‘মহাকাল’ শব্দের অপভ্ৰংশ। ( ১০ ) ‘তাত' ( পৃঃ ৩১৪) শব্দটিকে ‘তাঁহাতে’ শব্দের রূপান্তর বলা হইয়াছে । সম্ভবতঃ উহ। তাহাই । (১১) “দিনের সন্ধ্যাবেলা” ( পৃঃ ৩৫২)। মহিমবাবু ‘সন্ধ্যা’ অর্থে ‘সমাপ্তি’ বা ‘শেষ’ ধরিয়াছেন । ইহা একেবারেই অচল । সর্বত্রই ‘সন্ধ্যা’ শব্দ দ্বারা দিব্যাবসান সূচিত হয়। ‘দিনের সন্ধ্যাবেলা’ কথাটিতে ‘দিনের শব্দটির অর্থ নাই, উহা পয়ার ছন্দের নিয়ম বজায় রাখিতেছে মাত্র। মহিমবাবু ‘জীবন-সন্ধ্যা’ কথার উল্লেখ করিয়া তাহার অদ্ভুত ধারণা সমর্থন করিয়াছেন ; কিন্তু উক্ত ক্ষেত্রে ‘সন্ধ্যা’ কথাটির আলঙ্কারিক অর্থ ধরিতে হইবে । (>२ ) 'नाश्नाख्' (श्रृः 8× ), 'मलाङ' (श्रृः 8४ ), '७८ङ' (श्रृः 8७) প্রভৃতি শব্দের অর্থ তিনি অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া দিয়াছেন। আমরা শব্দের প্রচলিত অর্থই চাহি ; অনুমান করিয়া অনেক কিছুই বলা যায়। আমরা সে সমস্ত জানিবার জন্য কৌতুহলী নাহি। (১৩) “ষরু শস্য” মহিমবাবু এবং মৈমনসিংহের আরো অন্য কয়েকজন ভদ্রলোক আমায় একবাক্যে জানাইতেছেন যে “ষরু শস্য’ কথাটি তাহদের প্রদেশের একটি অতি সাধারণ কথা এবং উহা দ্বারা সর্বদাই সব রকমের, কৃষিদ্রব্য’ বুঝাইয়া থাকে। সুতরাং আমি যে বলিয়াছিলাম, ‘ষরু শস্য' কথাটি ‘সরিষা” (সর্ষপ ) হইতে আসিয়াছে, তাহা ठिक नम्र । (১৪) “করুমী’ ( ৪৯ পৃ: ) কথাটির অর্থ, আমি ধরিয়াছিলাম, 'ঘটক' । মহিমবাবু বলেন যে উহা দ্বারা কেবল 'ঘটক' বুঝায় না, পরস্তু মজুর, মিস্ত্রি ইত্যাদি আরও অনেককে বুঝাইয়া থাকে। কিন্তু আমি কেবল