পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা Yst চট্টগ্রামের পূর্ব-সীমান্তবর্তী শৈলমালার সঙ্গে ত্রিপুরা, আসাম, মণিপুর ও ব্ৰহ্মদেশের নাতিবৃহৎ গিরিরাজি একটি সুদৃশ্য মণিমালার ন্যায় সংগ্ৰাঞ্চিত/ ইহাৱা হিমালয়েরই সন্তান-সন্ততি এবং মনে হয় যেন গিরিরাজের পরিচ্ছদের উপান্তবৰ্ত্তী হইয়া শিশুর ন্যায় দাড়াইযা আছে। এই শতসহস্ৰ ক্রোশব্যাপী অরণ্যসন্ধুল সুবিস্তৃত গিরিভুমিতে হস্তী, গণ্ডার, সিংহ, ব্যায়, গয়াল প্রভৃতি ভীষণ প্ৰকৃতির জন্তুরা বিহার করিতেছে । আমরা এই পালাগানে পাইতেছি যে, এই সমস্ত গিরিগহবরে বিপুলকলেবর অজগর এবং চন্দ্ৰবোড়া প্রভৃতি সৰ্প বিচরণ করে, তাহদের মুখের সন্ধান পাইলে বহুদূরে পুচ্ছের খোঁজ করিতে হয় । দলবদ্ধ হস্তীর বৃংহণশব্দে এই সমস্ত অতিকায় সপও গিরি-গহবরের নিগুঢ়তম প্রদেশে লুক্কায়িত হয়। একদিকে এই সমস্ত ভয়াবহ জন্তুরা বিহার করিয়া থাকে, এবং অপরদিকে চাকমা, মুরুদু, জুমিয়া ; প্রভৃতি জাতিরা পর্বতের সানুদেশে বিচিত্র বাসভূমি নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহাতে অবস্থান করিতেছে । মনুসংহিতায় এই সমস্ত পার্বতীয় জাতিকে “কিরাত’ আখ্যা প্ৰদান করা হইয়াছে এবং রামায়ণে আমরা যে হেমাভ কিরাতের উল্লেখ পাই সম্ভবতঃ সেই কিরাতেরা ব্ৰহ্মজাতিরই পূর্বপুরুষ। প্ৰাচীন ইতিবৃত্ত অনুসন্ধান করিলে দেখিতে পাই যে, হস্তীর লোভে মুসলমানেরা এই অঞ্চল আক্রমণ করিত। ভ্ৰাতৃবিচ্ছেদ অথবা অন্য কোনরূপ আভ্যন্তরীণ গোলযোগের সহায়তার জন্য ত্রিপুরার রাজন্য বর্গ অনেক সময়ে সুবৰ্ণগ্রাম ও লক্ষণাবতীর মালিককে শতাধিক হস্তী উপঢৌকন পাঠাইতেন। ত্রিপুর-রাজবংশের প্রাচীন ইতিবৃত্ত “রাজমালা”য় এই সকল বৃত্তান্তের বর্ণনা আছে :- “ সর্বভ্ৰাতৃ জিনিয়া পাইল রাজ্যস্থান, পুনর্বার গেল গৌড়েশ্বর বিদ্যমান। दछ कझि झट्टौं व्लि अऊि ठूश्द्धन्न, দেখিয়া সন্তুষ্ট হৈল গৌড়ের ঈশ্বর। রাজপুত্ৰ জ্ঞানবান হেন হৈল জ্ঞান, গৌড়েশ্বর আপনেহ করিল বাখান । 9 no