পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ গীতিকা هو لا আমরা চট্টগ্রাম এবং তান্নিকটবৰ্ত্তী প্রদেশের শিকারীদের কথা উল্লেখ করিয়াছি। শিকারীরা তিন প্রকারে হস্তী ধৃত করিয়া থাকে-- SSSSSS BBDSDDBBDBDB SDDDD S DBDuDDSS SBBB BuD বিশেষ স্থানে আনিয়া আবদ্ধ করিতে হয় । ইহাকেই “খেদা” বলে এবং খেদাই অপরাপর উপায় হইতে শ্রেষ্ঠ। এই পালায় এই রকমের খেদার কথাই উল্লিখিত হইয়াছে । (২) পরতালা-শিকার-কোন গুণ্ডা অথবা ‘মকনা” ( পুরুষ হস্তী ) মাদভ্রান্ত হইয়া যখন দল হইতে ছুটয় আসে তখন কয়েকটি ‘কুনকী’র ( স্ত্রী হস্তীর) সাহায্যে গুণ্ডা হস্তীকে কৌশলে আটকাইয়া ফেলা হয়। এই উপায়কে পরতাল-শিকার কহে । (৩) ফাঁসি-শিকার-কুনকীকেই ফাঁসি-শিকারে ধরা যায়। দুইটি কি তিনটি পোষা হাতী কোন বন্য কুনকীর সহিত সৌহার্দ্য স্থাপন করিতে সমর্থ হইলে তাহারা ঐ বন্য হস্তিনীকে লইয়া পৰ্ব্বত হইতে নীচে নামিয়া আসে। এই সময়ে সুচতুর মাহুত একটা রাজু সেই বন্য হস্তিনীর শুণ্ডের দিকে অগ্রসর করিয়া দেয় । হস্তিনী আপন প্ৰকৃতিবশতঃ সেই রজু, শুণ্ডের দ্বারা খেলাইতে খেলাইতে এমন অবস্থায় পৌছায় যাহাতে রাজুর ফাঁদটি ফাঁসের মতন গলা জড়াইয়া ধরে। তখন সেই হস্তিনী মাহুতের নিকট চির-দাসত্বশৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়। " * হাতী-খেদার অনেকগুলি কেন্দ্র ছিল। পালা-গানে “থাম্বু-ফালুম।” নামক হাতী-খেদার একটি স্থানের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। এই স্থানটি ব্ৰহ্মদেশের অন্তর্গত। উত্তর দিকের পোহনী-পরীর মুল্লুকের উল্লেখ দৃষ্টিগােচর হয়। পোহনারা জাতিতে হিন্দু, ইহার একজাতীয় নৰ্ত্তকী— ! দেখিতে অতিশয় সুন্দরী এবং খর্বাকৃতি। ব্ৰহ্মদেশে পােহনার নাচ একটি দেখিবার জিনিষ বটে। পোহনা-পরীর মুল্লুক বলিতে মণিপুর বুঝা যায়। ব্ৰহ্মদেশ হইতে আসামের উত্তর সীমা পৰ্যন্ত সুবিস্তীর্ণ পার্বত্য অঞ্চলে বৎসর বৎসর বহুসংখ্যক হাতী ধৃত হয়। . আমরা নিম্নে হাতী-খোদার কেন্দ্ৰগুলি নির্দেশ করিতেছি