পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sle/o (৫) “সরাইয়ের পথে” ( পৃঃ ৬১, পঙক্তি ১২ )। ‘সরাই' শব্দের অর্থ ‘হােটেল’, ‘পান্থনিবাস’ এবং আমি সেই অনুসারেই উহার অর্থ করিয়াছিলাম, কিন্তু অমূল্যবাবুর নিকট জানিতে পারিলাম যে "সরাই’ কথার স্থানীয় অর্থ ‘প্ৰশস্ত’ ( চওড়া ) । কিন্তু প্ৰশস্ত’ হইলে পশ্চাতের “এর’- শব্দের সার্থকতা কি Pি (৬) 'কাছ লা” ( পৃঃ ১২৩, পঙক্তি ১১ ) শব্দের আমি অর্থ করিয়াছিলাম, “গামছা” কিন্তু অমূল্যবাবু বলেন ইহা ভুল, উহার অর্থ “এক প্রকার মৃৎ-পাত্ৰ'। সুরেন্দ্রবাবুও এই কথা বলিয়াছেন এবং সে সম্বন্ধে ইতিপূর্বে আমি আলোচনা করিয়াছি। (৭) “বাগুনি’ ( পৃঃ ১২৭, পঙক্তি। ২) শব্দের অর্থ তাহার মতে “ব্যাস্ত্রী’ ও ‘বাঘিনী’ শবদ হইতে উৎপন্ন । মহিমবাবুর মতই অমূল্যবাবু ও সুরেন্দ্ৰবাবু ‘বউগড়া” (পূঃ ৬৭, পঙক্তি »), 'वांद्य)' ( त्रू: २१, १७ डि १), ‘श्रुश्त्र' (शू: ३७१, १७ ख्’ि »१), ‘হালিধান’ (পৃঃ ১৮৬, পঙক্তি ৭) শব্দের অর্থ সংশোধন করিয়া পঠাইয়াছেন, এবং এ সম্বন্ধে ইহাদের ঐক্য আছে। (৮) “কাগমালা” (পৃঃ ২৬৮, পঙক্তি ২০) শব্দের অর্থ আমি অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া বলিয়াছিলাম “শিকা” ; কিন্তু অমূল্যবাবু বলেন যে রান্নাঘরের বাসন রাখিবার জন্য একটা বাঁশের খুটার উপর যে আধার তাহাকে ‘কাগমালা” বলে। কথাটি সম্পূর্ণ স্থানীয়, সুতরাং আমার মনে হয় তিনি ঠিকই বলিয়াছেন । শ্ৰীযুক্ত ধনঞ্জয় ভট্টাচাৰ্য্য, এম, এ, কুচবিহার কলেজের অধ্যাপক, ‘বউগড়’ ও ‘জুইতের ঘর” শব্দদ্বয়ের পূর্ববৰ্ত্তী সমালোচকদের মত সংশোধন করিয়াছেন। পূর্বেই এ সম্বন্ধে যাহা বলা হইয়াছে তাহা ছাড়া আর নূতন কিছু না থাকায় উহার পুনরাবৃত্তি নিরর্থক মনে করি। ‘পাণখিল' ( পৃঃ ১০৪) শব্দটিকে আমি ‘পাণখিলি' শব্দের অপভ্রংশ ভাবিয়ছিলাম। কিন্তু ধনঞ্জয়বাবু বলিতেছেন যে মৈমনসিংহে ইহা বিবাহের পূৰ্ববৰ্ত্তী একটি সুপরিচিত কৃত্য। ইহাতে যদিও পাণ, সুপারি ইত্যাদির