পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डूमिका G ক্রুর হস্তে প্ৰদান করিব।” এইরূপ নানা চিন্তা করিয়া সে অবশেষে স্থির করিল যে সে নিজেই ইহাকে বিবাহ করিবে। তাহার এই সঙ্কল্পের মধ্যে কোন ইন্দ্ৰিয়জনিত লালসা ছিল না । সে বালিকার একান্ত হিতকামনার দ্বারা প্রণোদিত হইয়াছিল । তাহার স্বার্থের মধ্যে এইটুকুমাত্র ছিল, বাৰ্দ্ধক্যে মানুষের একটু সেবাশুশ্রীক্ষা পাইবার একটা স্বাভাবিক BDBBDB KBDS DDDD S DDD S 0 iBBB KSDB DBD SS SD BBB বিষয়ের আর একটা দিক ছিল, তাহা তাহার আদৌ চোখে পড়ে নাই। সে যে বৃদ্ধ হইয়াছে এবং তজ্জন্য একটি একান্ত তরুণীর স্বামী হওয়ার পক্ষে একেবারে অযোগ্য হুইয়াছে, এ কথাটি সে ভুলিয়া গিয়াছিল। এ ভুল হওয়ারও একটা কারণ ছিল। তাহার চতুষ্পার্শ্বে বহু গলিতদন্ত লোলচন্দ্বর্য বৃদ্ধ এইরূপ বিবাহ করিত, সুতরাং বিষয়টার মধ্যে যে অসামঞ্জস্য ও বিসদৃশতা ছিল তাহা তাহার মনে পড়ে নাই। যুবতী। রমণীর নিকট প্রেমই সুবৃহৎ সাম্রাজ্য। তদপেক্ষা উৎকৃষ্ট কোন জিনিষ তাহার আকাঙিক্ষত হইতেই পারে না । বৃদ্ধ মণিরের মনে একথা একবারও উদিত হয় নাই। সুতরাং কোন এক শুভ জুম্মাবারে যখন মৌলবীরা তাহার হস্তের সঙ্গে তরুণীর হস্ত মিলাইয়া মন্ত্র উচ্চারণ করিতে লাগিল, তখন সে সেই উৎসবের মধ্যে কোন প্রকারের অসঙ্গতি আবিষ্কার করিতে পারিল না । কিন্তু কবি তাহাকে তঁহার কঠোর বিচার হইতে অব্যাহতি দেন নাই । তিনি এই ব্যাপার উপলক্ষে লিখিয়াছেন, লাল পরীকে যেন পিশাচে অধিকার করিল, চন্দ্ৰকে যেন রাহুতে গ্ৰাস করিল। এইরূপ কঠোরভাবে তিনি মণিরকে ধিক্কার দিয়াছেন। এদিকে যখন মাণ্ডুর মা নীরবে তাহার অদৃষ্টকে গালিমন্দ দিয়া তাহার জীবনের প্রতি বিস্মৃহিত দেখাইত এবং তাহার প্রায় সমবয়স্ক যুবক হাসেনের প্রতি অনুরাগী হইয়া ধাপে ধাপে অবনতির নিম্নতম সোপানে উপস্থিত হইল, তখন কবি তাহার প্রতি কোন বিরক্তি প্ৰকাশ করেন নাই। হাসেন ছিল তাহার বাল্যকালের খেলার সাখী। তাহারা উভয়েই মনে করিয়াছিল যে ওবা সাহেব তাহদের পরস্পরের পরিণয়কামনা চরিতাৰ্থ করিবেন। কিন্তু হঠাৎ মাথার উপর বীজ পড়িলে লোকে যেরূপ স্তম্ভিত হইয়া যায়, বৃদ্ধ