পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tdNR পূর্ববঙ্গ গীতিকা পালাগানটির ইহাই বিষয়। খুব সরল উত্তেজনার সঙ্গে কৃষক-কবি তঁহার বর্ণনীয় বিষয়টি রচনা করিয়াছেন, এবং প্ৰতি দুই ছত্রের পরে পরে ‘হে, হে, হে” এইরূপ পরিসমাপ্তি পদ প্ৰদান করিয়া গায়কদের সুরটি পৰ্য্যন্ত আমাদের কাণে পৌছাইয়া দিয়াছেন। মুসলমান কবির বেশ একটু পরিহাসপ্রিয়তাও ছিল। সেই পরিহাসে কোন বিদ্বেষের চিহ্ন নাই, অথচ একটু আমোদ আছে। পাঠক তাহা উপভোগ করিবেন। কবি এক জায়গায় লিখিয়াছেন যে কৰ্দমাক্ত বিষবীজাণুপূর্ণ এই সব তীর্থের জল খাইলে পরকালে কি হইবে তাহা স্মৃতিকারই জানেন, কিন্তু ইহকালে তাহার ফল কলেরা । আর এক জায়গায় লিখিয়াছেন। অল্পবয়স্ক সুন্দরীরা বিশেষ তরুণী বৈষ্ণবললনারা খুব আগ্রহ সহকারে তীর্থদর্শণের পুণ্য সঞ্চয় করিতে আসিয়া গুণ্ডাদিগকে তাহাদিগকে হরণ করিয়া লইতে বেশ সুবিধা দেন । এই পালা গানটির গায়ক বাসুইরাগার সজুবিয়াতি মধ্যে মধ্যে পদ ংযোজনা করিয়া গান গাওয়ার পক্ষে ইহা বেশী উপযোগী করিয়া দিয়াছেন এ কথা ভণিতায় আছে ; রামচন্দ্রের অভিশাপ হয়ত ফলিয়াছিল । অন্ততঃ এখন এই লোক-বিরল ইষ্টকস্তােপ-সংস্কুল এবং জলীয় লতায় পরিপূর্ণ দীঘিপূর্ণ বৃহৎ বন্যভূমি দর্শন করিলে সহজেই মনে হয় যেন মৰ্ম্মাহত ব্যক্তির দীর্ঘনিঃশ্বাস এই দেশের উপর এক সময় বহিয়া গিয়া লোকালয়কে শশানে পরিণত করিয়াছে। পালার শেষে এই কয়েকটি ছত্ৰ পাওয়া যাইতেছে “রাজা গেছে প্ৰজা গেছে গেছেরে ভাই ঠাট ঠমক । উজাড় ভিটা পইরা রইছে এ্যাহন শিয়ালের বৈঠক ৷৷ হে-হে-হে গাড়া রইছে দালান কোঠা মালবেসাতি কত যে ভাই । লোকে বলে বহুৎ মালের লোহা জোহা নাই ৷ (లె -- কত জোনে দেইখ্যা ছেরে ভাই কত জোনে মাল নিছে । আবার কত জোনে মাটি খুইছা জিহবা চাটুকাইছে। Cश्-6श्-6श्'