পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89 পূর্ববঙ্গ গীতিকা বুহির করিতেছেন- গীত হারাম”। কোরাণ হাদিসের দোহাই সুরু হইয়াছে, সুতরাং অনতিবিলম্বেই গাজীর পালা বিলুপ্ত হইবে।” অন্য দুইজন গায়কের মধ্যে আলিয়র রহমান এই পালার কতকাংশ • গাহিতে পারে, কিন্তু সে পালাটি ভুলিয়া গিয়া প্রায়ই নিজে জোড়াতালি দিয়া সমস্যা পূরণ করে। যেখানে তাহার স্মৃতি বিলুপ্ত, সেখানে সে গান থামাইয় তাহার সারাংশ গদ্য ভাষায় কহিয়া যায়। আশুবাবু লিখিয়াছেন যে তৎকর্তৃক গীত পালা অত্যন্ত সামঞ্জস্যহীন। তৃতীয় ব্যক্তি ওজু পাগলার মাথা খারাপ। সে মাঝে মাঝে, অর্থাৎ যখন ভাল থাকে, পালাটি বেশ জমাইয়। তোলে, কিন্তু “হঠাৎ খেয়াল চাপিলে তাহার গান প্ৰলাপে পরিণত হয়।” নিজাম ডাকাইত, কেনারাম এবং মনসুর এই তিন পালার মধ্যে অনেকটা DBBDD gDS DBBODSS SDBBD DDBBD DD BDBBDBBD BBDLLD ধৰ্ম্মবীরে পরিণত হইয়াছিল। নিজাম ডাকাইতের পালা গীতিকার দ্বিতীয় খণ্ডে প্ৰকাশিত হইয়াছে | নিজামের নাম চট্টগ্রামে বহুল প্রচায়িত, এবং মুসলমানী বাঙ্গালায় লিখিত দুই একখানি “ নিজাম ডাকাইতের পালা’ প্ৰকাশিত হইয়াছে, তাহা আমরা দেখিয়ছি। সেই পালার উপাখ্যান ভাগ অতিরঞ্জিত ও অলৌকিক ঘটনাসঙ্কুল। কিন্তু কেনারাম ও মনসুরের জীবনে অলৌকিক কিছুই নাই। যে উদাম ভক্তি ও অনুশোচনার ফলে তাহদের জীবনে আকস্মিক পরিবর্তন ঘটিয়াছিল ভািহ৷ অপূর্ব হইতেও অপূর্ব, কিন্তু তাহা এত স্বাভাবিক যে আমরা উহা পড়িয়া বিস্মিত হইয়াও কোনও অলৌকিকী দেবীলীলা বা অস্বাভাবিক দৈব ঘটনা মনে করিয়া বিহবল হই না । কেনারাম ও মনসুর উভয়ের জীবনেই যে গুরুতর পরিবর্তন ঘটিয়াছিল তাহ সরল পালাগানে অতি সুন্দরভাবে বিবৃত হইয়াছে। এই পালাগানটিতে এত প্ৰাদেশিক এবং প্রাকৃত শব্দের বাহুল্য আছে যে সেগুলির অর্থ উদ্ধার করিতে পাঠকবর্গকে বিলক্ষণ বেগ পাইতে হইবে, তবে আমরা ইহাতে প্রচুর পাদটীকা প্ৰদান করিয়াছি; কিন্তু যেরূপ দুৰ্গম বন্য বাঁথিতে বিচিত্র কুসুমরাশি দর্শন দিয়া মাঝে মাঝে পথিকের ক্লান্তি অপনােদন করে, এই ভাষাসঙ্কটের পথে পাঠকও তেমনই মাঝে মাঝে চিত্তবিনোদনকারী কবিত্বের সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া মােহিত হইবেন। নিরক্ষার চাষা তাহার বন্ধুর ও কর্কশ ভাষায়