এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা
(৫) প্রান্তর-পধ
(কাঞ্চন)
আমি বিরহিনী যে বন্ধু আমি বিরহিনী।
অন্ধকারে বনের পথ না চিনি রে বন্ধু না দেখি না চিনি॥২
নদীর তীরে কেওয়া বন ভইরা রইছে ফুলে।
হস্ত ধরিয়া লও এইনা নদীর কুলে॥৪
চলিতে না পারিরে বন্ধু যৈবন হইল ভারী।
রে বন্ধু যৈবন হইল ভারী।
এইখানে শুইয়া বন্ধু কাটাইবাম নিশি[৩]॥৬
(রাজপুত্ত্র)
আরও একটু যাওলো কন্যা বাপের মুল্লুক ছাড়ি।
বাপের মুল্লুক ছাইড়া আমরা হইবাম দেশান্তরী॥৮
রাত্রি বুঝি পোষায় রে কন্যা কালিয়ারী[৪] হইল।
এই দেশ ছাড়িয়া কন্যা অন্য দেশে চল॥১০
আশ্রা[৫] যদি পাইল কন্যা ভাগ্যিমানের[৬] বাড়ী।
তা না হইলে জন্মের মতন হইবাম বনচারী॥১২
- ↑ দেশেতে...ঢোল—রাজপুত্ত্র ও কাঞ্চন মালাকে পাওয়া যাইতেছে না, পুরষ্কার ঘোষণা করিয়া ঢোলের বাদ্যের সঙ্গে এই সংবাদ প্রচারিত হইল।
- ↑ গানের প্রথম পালা বা অংশ শেষ হইল।
- ↑ অনূঢ়া নবীনা পথশ্রমে অনভ্যস্তা; তাই বিশ্রামের জন্য রাজপুত্ত্রকে অনুরোধ করিতেছেন।
- ↑ কালিয়ারী=ঈষৎ আলো।
- ↑ আশ্রা=আশ্রয়।
- ↑ ভাগ্যিমানের=ভাল কোন গৃহস্থের।