এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ধোপার পাট
১৭
রুক্মিণী (জনান্তিকে)
“কাঞ্চন পুরুষ এই আইসে আর যায়।
এই নাগর ধুবার যুগ্যী[১] মনে না জোয়ায়॥১৪
ধুবার ঘরে না জন্মিল জন্মিল রাজার ঘরে।
কপালে আছিল তাই এত দুঃখ করে॥১৫
নিত্যি নিত্যি আইসে ধুপা কাপড় লইয়া।
উদামা[২] খেড়কীর পথে আমি থাকি চাইয়া॥১৮
ভমরা আছিলা তুমি হইলা গোবরিয়া[৩]।
ধুবার কন্যা আনল তোমায় পিরীতে মজাইয়া॥”২০
সুবুদ্ধি রাজার কন্যা কুবুদ্ধি হইল।
কাপড়ের ভাজে পত্র সঙ্কেতে রাখিল॥২২
সঙ্কেত-পত্র
“শুন শুন প্রাণের বন্ধুরে না চিনি না জানি।
দেখিয়া তোমার রূপ হইলাম পাগলিনী॥২৪
কর্ম্মদোষে দোষী তুমি রাজারে ভাঁড়াও।
উড়িয়া বনের মধু বনফুলে খাও॥২৬
আইল বসন্ত কাল ঐনা ফাল্গুন মাসে।
কোকিলার কলরব ফুলে জোয়ার[৪] আসে॥২৮
আবির লইয়া খেলে নাগরা নাগরী।
এমন কালে কাপড় লইয়া আইস রাজার বাড়ী॥[৫]৩০