নিষ্ফলা গাছেতে কভু বান্দর নাহি চড়ে।
ফুলে মধু না থাকিলে না জিগায়[১] ভ্রমরে॥১২
পুত্ত্র বিনে সাধুর পুরী যে আন্ধাইর[২]।
অনেক দুষ্কেতে সাধু হইল ঘরের বাইর॥১৪
দৈবযোগে এক যোগী পথে দিয়া যায়।
কান্দিয়া পড়িল সাধ্যু সন্ন্যাসীর পায়॥১৬
অপুত্ত্রা আটকুরা আমি দুনিয়ার দুষমণ।
আমারে দেখিলে লোকে ভাবে বিড়ম্বন॥১৮
খেজালতে[৩] দরিয়ার ডুব্যা মরতে যাই।
দৈবে যদি দেখা দিলা রাখহ গোসাই॥২০
(২)
(গদ্য) সদাগরের এই কথা শুনিয়া সন্ন্যাসীর মনে খুব দয়া হইল। সন্ন্যাসী তার হাতে একটা ফল দিয়া বলিল।
এই ফল নিয়া তুমি নিজ ঘরে যাও।
শনি কি মঙ্গলবারে রাণীরে খাওয়াও॥২
আচরিত[৪] কন্যা এক জন্মিবে তোমার ঘরে।
পুরীখানা আলো হবে রূপের পশরে॥৪
চন্দ্রসম সেই কন্যা হবে রূপবতী।
তার গুণেক[৫] তোমার যত খণ্ডিবে দুর্গতি॥৬
কিন্তু এক কথা শুন হইয়া সাবধান।
নবম বচ্ছরে কন্যা দিবে গৌরীদান॥৮
নয় বচ্ছর পরে যদি দণ্ডেক ভারাও[৬]।
সাগরে ডুবিবে তোমার চৌদ্দখানা নাও॥১০