পরবর্ত্তী সংগ্রহ
তখন সন্ন্যাসী কাঞ্চনমালাকে কইল, তুমি তোমার বাপের দেশে যাও। তোমার বাপ তোমাকে যে বিমাতার চক্রান্তে বনবাস দিয়াছে,[১] সে মানুষ নয়। সে একটা মায়া রাক্ষসী। তুমি এই মায়াকাটি লইয়া তোমার মায়ের দেশে যাও। সে দেশের অনেক মানুষকে সেই রাক্ষসী ধরিয়া খাইয়াছে। তুমি মায়াকাটি লইয়া সেই দেশে গেলে মায়ারাক্ষসী পলাইয়া যাইবে এবং তোমার বাপ মুক্তি পাইবে। তখন কাঞ্চনমালা ভরাই নগরে গিয়া রাক্ষসের হাত থাক্যা তার বাপেরে মুক্ত কর্ল। কিছুকাল ধইরা কাঞ্চনমালা ভরাই নগরে আছে। পাত্রমিত্র সকলে কাঞ্চনমালার বিয়ার কথা রাজার কাছে তুল্ল। কিন্তু কাঞ্চনমালার বিবাহ লইয়া গণ্ডগোল উপস্থিত হইল। দেশ ছাড়িয়া এতদিন কাঞ্চনমালা কোথায় ছিল।
পাত্রমিত্র কয় রাজা, রাজা আরে কহি তোমারে।
চাইর বচ্ছরের শিশু লইয়া কন্যা গেল বনান্তরে॥২
কইবা ছিল কন্যা তোমার কই বনে আইল।
সঙ্গে ছিল ছাওয়াল স্বামী সেই বা কই গেল॥৪
পুরুষ ছাড়া নারী হইল তার যে নাই গতি।
····থাক্যা না লোকে বলেক অসতী॥৬
রাজ্যের দুষ্মণ রাজা হায়রে রাজা তোমারে কইব বুরা।
সভার মধ্যে অপমান বাঁচ্যা থাক্যা মরা॥৮
রাজা আরে কই যে তোমারে।
ঘর হইতে বাহির হইয়া নারী যদি যায় বাহিরে॥১০
তা হইলে সে নারীর মন ঘরে নাই সে রয়।
যেমন বাহির হইলে হাতির দাঁত সম্বুরা না যায়[২]॥১২