এবং সকলে মিলিয়া কাঞ্চনমালার পরীক্ষার আয়োজন করিল। পরীক্ষা এই হইল যে একটা মাকড়সার সুতা ধরিয়া কাঞ্চননালা শূন্যে ঝুলিয়া থাকিবে। তা হইলে সে সতী বলিয়া লোকে জানিবে। সাত রাজ্যের রাজারা নিমন্ত্রিত হইয়া আসিল। নয়ানগর হইতে কুঞ্জমালা আর তার স্বামী আইল।
বিদায় দেও, বাপ ওগো কহি যে তোমারে।
জন্মের মত বিদায় দাও দুষ্কিণী কন্যারে॥১৪
বিদায় দেও পাত্র মিত্র রাজ্যের বান্ধব ভাই।
আজি হইতে জান্যো আর কাঞ্চনমালা নাই॥১৬
রাত্রদিবা কালের সাক্ষী সুরুজ আর চান্দ্।
পাপপুণ্য নাই যে জানি না জানি ভালমন্দ॥[১]॥১৮
বিদায় দেও কুঞ্জমালা সাতজন্মের ভইনি[২]।
তোমার কাছে রাইখ্যা গেলাম প্রাণের সোয়ামী॥২০
বিদায় কর প্রাণপতি বিদায় কর মোরে।
কুঞ্জমালা লইয়া তুমি যাও নিজের দেশে॥২২
আমার লাগিয়া তুমি মনে না ভাবিও তাপ।
কুড়ি বচ্ছর পূণ্ণ[৩] হইল খণ্ডিল মোর শাপ॥২৪
তোমার চরণে মোর শতেক পণ্ণামী[৪]।
কুঞ্জমালা রইল কাছে বিদায় হইলাম আমি॥২৬
সাত রাজ্যের রাজার কাছে মেলানি মাগিয়া।
ধীরে ধীরে উঠে কন্যা মাকড়সা ধরিয়া॥২৮
কাঞ্চনমালা কন্যায় কেও না দেখিল আর।
বাতি নিবাইলে যেমন ঘর অন্ধকার॥৩০
ভরাই নগরের লোক কান্দিতে লাগিল।
দেববংশী কাঞ্চনমালা দেবপুরে গেল॥৩২