উড়িতে উড়িতে পক্ষী ভেলুয়ার মন্দিরে।
নিশাকালে কয় কথা ডাকিয়া কন্যারে॥
“উঠ উঠ-কন্যা তুমি কত নিদ্রা যাও।
আমি ডাকি শুক পক্ষী আঁখি মেইল্যা চাও॥ ৮৬
পুষ্প কাননে তোমার পুষ্প গেল চুরি।
উঠলো প্রাণের কন্যা নিশা হইল ভারী॥”
আঁখিতে নাই নিদ্র লেশ করে ছট ফটি।
শুকের ডাকনে[১] কন্যা বসিলেক উঠি॥ ৯০
কপাট খুলিয়া কন্যা আসিল বাহিরে।
তারা যে ভাসিয়া যায় আসমান সায়রে[২]॥
মাইঝ[৩] আকাশে চাঁদ উঠে দুপুর রাতি যায়।
মাথায় হাত দিয়া কন্যা চিন্তয়ে উপায়॥ ৯৪
সাই সঙ্গতীরে কন্যা কিছু না কহিল।
একেলা পুষ্পের বনে পরবেশ করিল॥
গোপন করিয়া কন্যা শারী লইল সাথে।
শ্যাম শুক উইড়া বইল কন্যার শিরেতে॥ ৯৮
ডাইল[৪] নোয়াইয়া কন্যা পুষ্প তুলতে চায়।
সম্মুখে চাহিয়া দেখে কিসে দেখা যায়॥
চান্দ কি নামিয়া আইল পুষ্পের কাননে।
দুইজনে দেখা হইল নিশীথে গোপনে॥
ফইল্যা[৫] গেল নিশির স্বপ্ন তারা দুই জনে।
নিরীলা বসিল গিয়া পুষ্পের কাননে॥ ১০২
“কোন্ পথে আইলা তুমি কেবা দিল কইয়া।
তোমার লাগ্যা ফিরি আমি পাগল হইয়া॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভেলুয়া
১৫৫