বাইশ পুড়া জমি দিবাম তোমারে লেখিয়া।
সুন্দর নারী দেইখ্যা তোমার করাইবাম বিয়া॥”১০৮
হাতেতে লইয়া কেশ মদন সদাগর।
দুষ্কিত[১] হইয়া ফিরে আপনার ঘর॥১১০
(৮)
শুন শুন প্রাণ ভেলুয়া কইয়া বুঝাই তরে[২]।
আস্মান ভাইঙ্গা পড়ল আমার মাথার উপরে।
আইজ হইতে উজান নদী ভাইটাল বহিল।
চৌদ্দডিঙ্গা আজি হৈতে সায়রে ডুবিল॥৪
আবেতে[৩] ঘিরিয়া লইল পূর্ণমাসির চান্নি[৪]।
সুখের ঘরেতে তোমার লাগিল আগুনি॥
বাপে খেদাইল মোরে তুমি ভেলুয়ার তরে।
তোমারে লইয়া কন্যা ভাসিলাম সায়রে॥৮
ভাসিতে ভাসিতে আইলাম রাক্ষসের দেশে।
এইখানে মজিলাম আমি আপন কর্ম্মদোষে।
বাপ হৈল কাল তোমার যৌবন হৈল বৈরী।
তোমার লাগ্যা কন্যা আমি হইলাম দেশান্তরী॥১২
সেও মোর আছিল ভাল সুখে কার্য্য নাই।
সেও সুখে বাধিল সাধ বিন্ধাতা গোঁসাই॥
শিরেতে দীঘল কেশ কাটিয়া ফেলাও।
সোণার যৌবনে তোমার কালিয়া[৫] মাখাও॥১৬
দুরন্ত দুষ্মন্ রাজা আদেশ করিল।
তোমারে ছাড়িয়া কন্যা বিদেশ যাইতে হইল।