নানা দেশে যাই আমি বাণিজ্যের কারণ।
তোমাদের মা বাপ দেখিতে কেমন॥
দারুণ কঠিন স্বামী এমত করিল।
মধ্য নদীর চড়ায় আইন্যা নির্ব্বাস যে দিল॥”৬০
এই কথা শুইন্যা তবে যুগলা কামিনী।
দুইজনে কান্দাকুটী চোক্ষে বহে পানি॥
একে একে কয় ভেলুয়া সকল বারতা।
বাপ মার নাম কয় যত ইতিকথা॥৬৪
সেমতে হইল সাধুর সঙ্গেতে মিলন।
মা ও বাপ ছাইরা কন্যা করে পলায়ন॥
শ্বশুরে না দিল স্থান কলঙ্কী জানিয়া।
নানা দেশে ঘুরে সাধু আমারে লইয়া॥৬৮
তার পরে কহে কন্যা আবু রাজার কথা।
এইখানে থাইক্যা কন্যা সানে ভাঙ্গে মাথা[১]॥
যেইমতে দুষ্মণ রাজা পাষণ্ডী হইল।
ছল কইরা সাধুরে যে বাণিজ্যে পাঠাইল॥৭২
পবন ডিঙ্গায় বহিয়া কন্যায় যায় জৈতাশ্বরে।
একে একে সকল কথা কৈল সওদাগরে॥
এক নদীর চাইর শাখা চউগঙ্গার জলে।
যেইমতে ডুবিল কন্যা দুফর[২] বেলা কালে॥৭৬
এই কথা শুইন্যা সাধু কান্দিতে লাগিল।
সাধুর কান্দন দেখি সকলে কান্দিল॥
ঘরণীর সঙ্গে সাধু সল্লা যে করিয়া।
যুগলা কামিনী লইল ডিঙ্গায় যে করিয়া॥৮০