পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভেলুয়া
১৯৫

“কোথায় পাইলে কন্যা তুমি কোথায় গেলে লইয়া।
এই ভাবেতে আইস কেন ভাঙ্গা ডিঙ্গা বাইয়া॥
অনুমানে বুঝি বিধি নিদারুণ হইল।
সায়র নিয়রে তারা ডুইব্যা কিসে মইল॥”২৮

“নয়রে নয়রে সাধু না ডুইবাছে তরী।
দেশে লইয়া গেলাম আমি যুগলা সুন্দরী॥
ছয়মাস পালিলাম কন্যার মতন।
দৈবেতে ঘটাইল শেষে এই বিরম্বন॥৩২
ভালা কর্ত্তে মন্দ হৈল বিধির নির্ব্বন্ধে।
ধর্ম্মপথে যাইতে শেষে পড়িলাম ফান্দে॥
একদিন দুইজনে পরিচয় কৈল।
বাপের বাড়ী যাইতে দুইয়ে কান্দিতে লাগিল॥৩৬
চৌদ্দ ডিঙ্গা সাজাইয়া লইয়া দুই নারী।
আগেতে চলিয়া যাই কাঞ্চন নগরী॥
পথেতে আছিল সেই দুষ্‌মনিয়া বাঘ।
রাংচাপুরের ঘাটে রাজা মোরে পাইল লাগ॥৪০
ধন রত্ন কাইরা নিল সঙ্গের দুই কন্যায়।
আসমান ভাঙ্গিয়া পড়ে আমার মাথায়॥
চৌদ্দ ডিঙ্গার যত ধন সব লইয়া কাড়ি।
রাক্ষসার পুরে বন্দী আছে দুই নারী॥”৪৪

* * * * *

পবন ডিঙ্গা বাইয়া তবে মদন সদাগর।
ধার্ম্মিক সাধুর দেশে গেল অতঃপর॥
আপনার ঘরে তবে সাধুরে রাখিয়া।
রাংচাপুরে যায় সাধু সলুকারে লইয়া॥৪৮
ভাইট্যাল বাকেতে সাধু ডিঙ্গা যে বান্ধিয়া।
যুক্তি করে সওদাগর সলুকারে লইয়া॥