এরে দেইখ্যা মেনকা যে মুখে হাত দিয়া।
মানা করে ভেলুয়ারে যে গোপন করিয়া॥
মেনকা কয় ডুমুনীলো তুই কোন ডোমের নারী।
কোন দেশ হইতে আইলে কোন দেশে বা বাড়ী॥৭৬
এইকথা শুনিয়া সলুকা মুচকি হাসিল।
বড়গলা কইর্যা[১] কন্যা পরিচয় দিল॥
“শঙ্কর ডোমের নারী উজান দেশে বাড়ী।
খারি বিকাইতে আমি আইলাম তোমার পুরী॥৮০
এক গাছি খারি মোর সাত রাজার ধন।
কিনিলে কিনিয়া লও না সহে বিলম্বন॥”
খুলিয়া কণ্ঠের হার মেনকা যে দিল।
এই মূল্যে খারি বিউনী কিনিয়া লইল।৮৪
ফরমাইস করিল কন্যা বিউনী দুইখানি।
আর দিন লইয়া আসে ডোমের ঘরণী॥
বাটার পান খাইয়া ডুমনী বিদায় হইল।
বিউনীর সহিত পত্র মেনকারে দিল॥৮৮
পত্র পড়ে মেনকা যে গোপন করিয়া।
কি লেখা লিখ্ছে সাধু পত্রেতে ভরিয়া॥
“নগরেতে আছি আমি সলুকারে লইয়া।
এক কথা কহি কন্যা শুন মন দিয়া॥৯২
কিরূপে উদ্ধার পাইবা রাক্ষসার ঘরে।
ভাবিয়া উত্তর দিও সলুকার করে॥”৯৪
- ↑ বড়গলা কইর্যা=উচ্চৈঃস্বরে। এই পরিচয়টা খুব উচ্চৈঃস্বরে দিল যাহাতে সকলে বুঝিতে পারে যে প্রকৃতই সে ডোম-কন্যা।