সিলৈ হাউই আর পানাস পপ্পন।[১]
চড়কি বাজি সাথে আর সৈন্যধুম॥
বাজি বারুদ লইল নৌকা যে ভরিয়া।
ডঙ্কা দামামা বাজে সঙ্গেতে বসিয়া॥৮
ঘন ঘন লোকজনে জয়ধ্বনি করে।
বিয়া করতে যায় রাজা ক্ষীর নদীর সাগরে॥
অমঙ্গল দেইখ্যা রাজা ডিঙ্গায় উঠিল।
যাত্রাকালে কাণা মাছি চক্ষেতে বসিল॥১২
জোরে জোরে হাঁচি পড়ে না ফুটে জোকার।[২]
জয়ধ্বনি দিতে লোকে করে হাহাকার॥
শকুনি উড়িয়া বসে মাস্তুল উপরে।
উখেরা[৩] বাতাসে রাজার ডিঙ্গায় কাছি ছিড়ে॥১৬
ঘাটের মাঝে এক ডিঙ্গা উভে হইল তল।
যতেক মঙ্গল দ্রব্য গেল রসাতল॥
রাণীরা বোঝায় রাজা প্রবোধ না মানে।
পাত্র মিত্র লইয়া রাজা যায় নিজ মনে॥২০
এক ডিঙ্গায় উঠে রাজা পাত্র মিত্র লইয়া।
অন্য ডিঙ্গায় উঠে ভেলুয়া মেনকারে লইয়া॥
নাপিত নাপিতানী লইল বিয়ার পুরোহিত।
যাত্রাকালে অমঙ্গল হিতে বিপরীত॥২৪
এই দিকে মদন সাধু কোন কাম করে।
চৌদ্দ ডিঙ্গা লইয়া গেল ধার্ম্মিক সাধুর পুরে॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভেলুয়া
২০৩