আর না হইলে আমি জলে ঝাপ দিব।
শীতল জলেতে আমি ডুইবা মরিব॥”
এহি কতা না বলিয়া নারী মরিবার যায়।
পাছে থনে[১] ‘মা’ ‘মা’ বুইলা বাসু ডাকে মায়॥৪৪
ফিরা চাইয়া বাসুর মাও দেখল সোণার মুখ।
সোন্তানের মোমতা আইসা ছাইয়া নিল বুক[২]॥
ভুইলা গেল পতির কতা আর পেটের জ্বালা।
আমির[৩] কয় আর মইরবা ক্যানে চক্ষু মুইছা ফালা॥৪৮
বাসুক নইয়া বাসুর মাও মাইঙ্গা দিবে পাড়া।
কেউবান কিছু দেয় খাইতে দয়াল আছে যারা॥
এক বাসুক নইয়া নারী কুইড়া ঘর না ছাড়ে।
পংখী যেমুন পাংখার তলে বাচ্ছা পহর পাড়ে[৪]॥ ৫২
(৩)
বাড়ীর কাছে জাইলাপাড়া আর আছে কোচার।
ইষ্টিকুটুম সরিক সরাত কেউ নাইঙ্কা তার॥
ভাই বেরাদার বাপ মইরাছে মাথা গোঞ্জার নাই যে ঠাঁই।
বাসুর মাও মোনে ভাবে কোথায় চইলে যাই॥৪
অনাথ হইলে জগদিষ্ট[৫] ইষ্ট করে যে তার।
কুচ্নী পাড়ার কানাইর মা যে নইল[৬] তাহার ভার॥
কানুর মাও সই পাতাইল বাসুর মায়ের সাতে।
বাসুর মাও তার দয়া দেইখ্যা সগ্গ পাইল হাতে॥৮