বাসু তহন ভাইঙ্গা চুইরা কৈল এক এক দাপে।
কতা শুইনা বাসুর মাও থরথরাইয়া কাঁপে॥
“কি কর্ম্ম কইরাছ বাসু হইল সর্ব্বনাশ।
বরমবধ[১] কইরা তুই বাড়াইলি তরাস॥৬৮
চক্কে আর দেখমু নারে বউ কুটুম নাতী।
বরমশাপে কেই থাকে না বংশে দিবার বাতি॥
হৈয়া ক্যানে না মরলিরে হৈতনা এত জ্বালা।
এমন দুষ্মণের হায়রে ডুইবা মরণ ভালা॥”৭২
কাইন্দা কাইন্দা বাসুর মাও চক্কের মোছে জল।
বাহু তহন বেসাত নিয়া কল্ল মাটির তল[২]॥
দিন ভইরা খাইল না কিছু কাইন্দা বাসুর মাও।
পোলার সাথে গোসা কইরা কইল না আর রাও॥৭৬
রাইত পোষাইলে বালুর মার চক্কু হৈল ঘোলা।
হাড় কাপাইনা জরে ধইরা শরীর ক’ল্ল কালা॥
দিন চারি পাঁচ পৈড়া রৈল বিছানের উপুরে।
পাড়া পরশী আর বাসু দেইখা মোনে ভাবনা করে॥৮০
আশ্যি পশ্যি[৩] কৈল “বাসু কবিরাজ ডাইকা আন।
মাও যে তোমার দুঃখী বড় ভালা কইরা টান॥”
পহর তিনি হাইটা[৪] বাসু যায় যে ত্বরাতরি।
তিনকড়ি যে মস্ত বৈদ্য পাইল তাহার বাড়ী॥৮৪
হাক ছাড়িয়া ডাকে বাসু কবিরাজ মশয়।
“আমার মাও যে য়্যাহন ত্যাহন[৫] তোমাকে যাইতে হয়॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪৮
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা