সাধুর ছাইলা তিন জোনের পছন্দ হইয়াছে।
তারা কৈল ক্যান্গো বাবা ভাব্না কি আছে॥২৪০
দিদির বেটী পঞ্চ আছে বিদপা[১] সোংসারে।
উদরের চিন্তা কইরা সদাই’ ভাইবা মরে॥
বাসু কৈল হেই[২] যাব খুসী হৈয়া নিব।
জন্যম ভরিয়া আমি অন্নবস্ত্র দিব॥২৪৪
বাসুর কতা শুইনা সাধু মোনে বল পাইল।
মাণিকতারার বিয়ার কতায় আধামত[৩] দিল॥
তিনবৌয়ের মত অইয়াছে গিন্নিও মত দিল।
বৈশাখ মাসের পরথম ভাগেই বিয়ার কতা হৈল॥২৪৮
বিয়াল[৪] বেলা খাইল বাসু দুগ্ধ আর চিড়া।
ধুতি ছাদ্দৱ নইয়া বাসু বাড়ীত আইল ফিরা॥২৫০
(৬)
সাধু তখন গোণক আইনা বিয়ার দেখ্ল দিন।
ভাগ্যে যা থাকে হব বিদাতার অধীন॥
বৈশাখ মাসের পাঁচই তারিখ দিন বাছ্না হৈল।
সাধুশীল তার পুত্ত্র নইয়া জোগার আরম্ভ কল্ল॥৪
বাসুর কাছে সাধু নৈল তিনশ টেহা[৫] পোণ।
পাঁচই তারিখ বিয়ার কাজু হৈল সোমাপন॥
বিয়ার রাইতে তিন বউ আর পাড়ার যত মাইয়া।
মোনের মোত আমোদ কল্ল নানান গাহান[৬] গাইয়া॥৮
পরের দিন্কা বাসী বয়ার খাওয়ান দাওয়ান হৈল।
মাণিকতারাক সোঙ্গে নইয়া বাসু বাড়ীত চইলা গেল॥
যাওয়ার কালে মাণিকতারা মায়রে ডাইকা কয়।
পঞ্চ দিদিক খবর দিয়া আনান জানি অয়[৭]॥১২