ঐ গ্রাম নিবাস, সাধুদাস, সঙ্গে জনাচারি।
জজ সাহেবের কাছে গিয়ে, কহিছে বিনয় করি॥
কি মন্ত্রণা
কচ্ছেন হুজুর
বসে
ঘরকন্না পুড়ায়ে আমার ভাইকে কাট্লে শেষে॥
শীঘ্র উপায় কর, সাঁওতাল মার, রাখ প্রজাগণ।
টাঙ্গির চুটে মুলুক কেটে পতিত ক’ল্লে বন॥
শুনে তখন, সিপাইগণ, কান্ধে বন্দুক নিল।
রাতারাতি হাতাহাতি কুমরাবাদে গেল॥
যুদ্ধ যেমতে, বিস্তারিতে, হবে বহুক্ষণ।
আকাশের চন্দ্র কোথা ধরয়ে বামন॥
বেটারা বন্দুক ধরে, তীর মারে, করে মার মার।
সঙ্গেতে কুকুর আছে হাজার হাজার॥
সাহেব হুকুম দিলে, ‘ফায়ের’ ব’লে, শুনে সিপাইগণ।
হাজার হাজার সাঁওতাল মারে ততক্ষণ॥
অমনি ভাগ্ড়া হ’য়ে, পশ্চিম মুয়ে, পলাইয়া সত্বরে।
জনা দশ বার গড়ে সেই দিনেতে মরে॥
লোকের কি যন্ত্রণা, কি লাঞ্ছনা, ক’র্লে সাঁওতালে।
কত গর্ভবতী রাস্তায় প্রসবিল ছেলে॥
এমনি সর্ব্বত্তরে, লুট ক’রে, বেড়ায় সাঁওতাল।
মনুষ্য কি কথা, দেবতা, পালান গোপাল॥
ভাণ্ডীবন ছেড়ে, পালান দৌড়ে, পূজারির মাথায়।
বীরসিংপুরের কালীমায়ের বলিহারী যায়॥
রায় কৃষ্ণদাস বলে, চরণতলে, রেখো মা আমারে।
কৃপা ক’রে নিজগুণে উদ্ধারিও মোরে॥
বারশ’ বাষটি সাল, বর্ষাকাল বানের বড় বৃদ্ধি।
আব্দারপুরের মানুষ কেটে ক’রলে গাদাগাদি॥