দুই দুস্তে কোলাকোলি হইল মিলন।
বহুৎ উমর[১] পরে এই দরশন॥২০
তবে আলাল খাঁ দোস্তেরে কহিল।
পুত্রের যতেক কথা জিজ্ঞাসা করিল॥
দুষ্মন হইয়া দুবরাজ কহে ঝুট্বাৎ।
মিথ্যা সাক্ষী দিলা রাজা হইয়া বেমাৎ[২]॥২৪
তবেত আলাল খাঁ দেওয়ান কোন্ কাম করে
দুবরাজের সঙ্গে যায় বান্যাচঙ্গ্ সহরে।
পর খাইয়া[৩] লইল সৈন্য হাতী আর ঘোড়া
চলিল যতেক সৈন্য হাতে ঢাল কাড়া॥২৮
চলিল যতেক সৈন্য না যায় গননা
তুফান উঠিল যেমন উতাল বাহানা[৪]।
পাহাড় পর্ব্বত ভাইঙ্গা যেন আইসে নদীর পানি
সামনাসাম্নি দুই দলে দেখায় কেরদানি[৫]॥৩২
তবে বানিয়া চঙ্গের লোক যখন শুনিল
আল্লা আল্লা বল্যা সবে কুঁদিয়া উঠিল।
শুনিয়া জামাল খাঁ দেওয়ান কোন্ কাম করিল
হাতে ছিল ঢাল তরোয়াল জমীনে রাখিল॥৩৬
হাঁটিয়া চলিল জামাল বাপের সাক্ষাতে
পিতা পুত্রে দেখা হইল সর[৬] জমীনেতে।
শুক্না ডালেতে যেমন আগুণে ধরিল
কুমারে বান্ধিতে আলাল হুকুম করিল॥৪০
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুরৎ জামল ও অধুয়া
৪২১