পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yov9)byd ভারতবর্ষ । এই সময় রোমে বিলাসিত চরম সীমায় পৌঁছিয়াছিল; তাই দেখিতে পাই,-রোম-সম্রাট টাইবেরিয়াস সিজার বিধি-নিষেধ (আইন) প্ৰণয়ন করিয়া অতি-সূক্ষ্ম মসৃণ রেশমী বস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করিয়া দিয়াছিলেন। ফলতঃ, বাণিজ্য-সূত্রে কারুখচিত রেশম্যাদির বিনিময়ে তখন রোম-সাম্রাজ্য হইতে ভারতবর্ষে বহু অর্থের সমাগম হইত। 球 米 বিদেশে বাণিজ্য-পোত । মিঃ টডের “পশ্চিম ভারতের ইতিহাস’ গ্রন্থে প্ৰকাশ,-টলেমিদিগের রাজত্বকালে আলোকজান্দ্ৰিয়া বন্দরে প্রায় ১২৫। খানি ভারতীয় বাণিজ্য-পোত সৰ্ব্বদা উপস্থিত থাকিত। বিভিন্নআকৃতি-বিশিষ্ট বিভিন্ন আয়তনের ক্ষুদ্র বৃহৎ পোত-সমূহে মিশরে, সিরিয়ায় এবং রোমসাম্রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্ৰে ভারতীয় পণ্য-সম্ভার সংবাহিত হইত। প্ৰকাশ,-তখন রোমকগণ প্রতি বৎসর ভারতবর্ষে প্ৰায় চল্লিশ লক্ষ পাউণ্ড মূল্যের স্বর্ণমুদ্র প্রেরণ করিতেন। ভারতীয় বণিকগণ রোমে বাণিজ্য-কেন্দ্ৰ-প্ৰতিষ্ঠায় যে অর্থ ব্যয় করিয়াছিলেন, তাহার উপস্বত্ব স্বরূপ বণিকগণ ঐ অর্থ গ্ৰহণ করিতেন। 素 米 米 বৈদেশিক উপনিবেশ । এই বাণিজ্য-সুত্রে বৈদেশিকগণ ভারতে উপনিবিষ্ট হইয়াছিলেন। খৃষ্টীয় প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দীতে, বাণিজ্যের প্রসার-কল্পে, রোমকগণ দক্ষিণ-ভারতের ‘মুজিরি” প্ৰভৃতি স্থানে উপনিবেশ স্থাপন করেন। তখন তামিল-দেশীয় নৃপতিগণ, শরীররক্ষার জন্য, বৈদেশিৰু-সৈন্য নিযুক্ত করিয়াছিলেন, তাহারও প্ৰমাণ পাওয়া যায়। দক্ষিণ-ভারতের মুজিরি বন্দর হইতে, লঙ্কা প্ৰভৃতি পণ্য লইয়া ভারতীয় অর্ণবপোত রোমে গমন করিত; আর তদ্বিনিময়ে রোম হইতে প্রচুর স্বর্ণমুদ্রা ভারতে আমদানি হইত,-ইতিহাস সে সাক্ষ্য প্ৰদান করিতেছে। কিন্তু পরবৰ্ত্তিকালে সে মুদ্রার সংখ্যা হ্রাস হয়। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ বলেন,-তখন ভারতের কার্পাসপ্রধান স্থানে রোমদেশীয় মুদ্র-সমূহ পরিদৃষ্ট হইত। ঐতিহাসিকদিগের এতদুক্তিতে আমরা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হই । সে সিদ্ধান্ত-তখন পাশ্চাত্য-দেশে তুলা জন্মিত না । ভারত যে তুলা সরবরাহ করিত, তাহাই তাহদের প্রধান অবলম্বন ছিল। অধুনা যে পাশ্চাত্য-দেশে তুলার প্রাচুর্য্য—তাহার মূল এই ভারত বলিয়াই মনে করি। ভারত হইতেই পরবৰ্ত্তি-কালে তুলার বীজ প্রভৃতি বিদেশে সংবাহিত হয়, আর তাহা হইতেই পাশ্চাত্যে তুলার চাষ আরম্ভ হইয়াছে। বৈদেশিক উপনিবেশিকগণ ভারতের যাহা শ্রেষ্ঠ, সে সকলই স্বদেশে লইয়া গিয়াছিলেন এবং তদ্বারা স্বদেশের শ্ৰী-সমৃদ্ধি পরিবৃদ্ধির সহায়তা করিয়াছিলেন। দুঃখের বিষয়, যে ভারত পাশ্চাত্যের-কেবল পাশ্চাত্যের নহে-জগতের সর্ববিধ উন্নতির মুলীভুত, যে ভারত সকলের সকল জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্থ-সম্পৎ প্রভৃতির উৎকর্ষ-সাধনের উৎস-স্বরূপ,-সেই ভারত আজি উপেক্ষার সামগ্ৰী হইয়া পড়িয়াছে। pongapuru Q umunum