পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের গুপ্ত-নৃপতিগণ। >8> উদ্দীপনার নবোদমে অশেষ অধ্যবসায়শীল কনিক্ষ ভারতবর্ষে পুনরায় ধৰ্ম্মরাজ্য-স্থাপনে সফলকাম হইয়াছিলেন। কৃতী তিনি ; বৌদ্ধধৰ্ম্মের সেই সজঘশক্তিকে আয়ত্ত করিয়া আত্ম-শক্তি প্ৰতিষ্ঠিত করিলেন । হৃদয় যখন পাপের অন্ধতমসায় সমাচ্ছন্ন, সহসা বুদ্ধদেবের দিব্যজ্যোতিঃ তাহার হৃদয়ে বিছুরিত হয়। অনুতাপের অন্তর্দাহে হৃদয় দগ্ধীভূত হইতে থাকে। কনিক্ষ পবিত্ৰাত্মা বুদ্ধদেবের চরণে শরণ গ্ৰহণ করেন। মৌৰ্য্যসম্রাট অশোকের ন্যায় কনিক্ষের জীবনেও এক অভাবনীয় পরিবর্তন সাধিত হইল । বৌদ্ধধৰ্ম্মের ‘অহিংসা পরমোধিৰ্ম্ম’ নীতি তঁহার হৃদয় পরিপূর্ণ করিল,-দয়া-দাক্ষিণ্যাদি বিবিধ গুণে কনিক্ষ গরীয়ান হইলেন। লুণ্ঠন-ব্যবসায়ী পাষণ্ড-প্ৰকৃতিসম্পন্ন হইলেও আপনার কৰ্ম্মগুণে কনিক্ষ ভারতের ইতিহাসে ঘয়ণীয় আসন লাভ করিয়া আছেন। প্ৰাণে ধৰ্ম্মের উন্মাদনার বিকাশ হওয়ায়, ভারত তঁহাকে অঙ্কে ধারণা করিয়াছিল -এমনিভাবে অঙ্গে অঙ্গ মিশাইয়া লইয়াছিল যে, বৈদেশিক শকিজাতির অন্তর্ভুক্ত হইলেও কনিক্ষ ভারতেরই একজন হইয়াছিলেন। তার পর আবার সাম্যে বৈষম্য উপস্থিত হয়। জোন ও বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের অবনতির সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় ভারতের সৌভাগ্য-গগন অন্ধ-তমিস্রায় আচ্ছন্ন হইয়া পড়ে। বিপ্লব-বিভীষিকার পৈশাচিক তাণ্ডব-নৰ্ত্তনে ভারত আবার প্রকম্পিত হইয়া উঠে। উত্তাল-তরঙ্গ-বিক্ষুব্ধ সাগরBBDB KD DBDBBSDDD BBBD DDD S গুপ্তরাজগণের পূর্ববৰ্ত্তী প্ৰায় শতাধিক বৎসরের ভারত-ইতিহাস যে অন্ধকারে সমাচ্ছন্ন, তাহার কারণ, আর অন্য কিছুই নহে। অধৰ্ম্মের অভু্যদয়ে ধৰ্ম্মের অধঃপতনই ভারতের ইতিহাসে সে কলঙ্কের মালীভুত। ধৰ্ম্মরূপ কল্পপাদপমূল আশ্রয় করিয়া, চন্দ্ৰগুপ্তাদি রাজচক্রবর্তিগণ যেমন ভারতের বিলুপ্ত-গৌরব পুন:-প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন ; গুপ্তরাজগণও তেমনই ধৰ্ম্মশক্তির উন্মাদনায়, তমিস্রার ঘনঘোরে নিমজ্জামান ভারতের পুনৰুদ্ধারে সমর্থ হইয়াছিলেন ! ধৰ্ম্মশক্তি-শ্রেষ্ঠ-শক্তি ; ধৰ্ম্মবল—শ্রেষ্ঠ-ব’ল । গুপ্তবাজগণ সেই শক্তি-সেই বলে বলীয়ান হইয়া ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করিয়াছেন । ধৰ্ম্ম-শক্তির আশ্রয়ে ধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠায় তঁহাদের গৌরবের অবধি নাই। ধৰ্ম্মের ইতিহাসে তাই তঁহার শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করিয়াছেন । ধৰ্ম্মশক্তির উপর নির্ভরপরায়ণ হইতে পারিয়াছিলেন বলিয়াই ইতিহাসে গুপ্ত-রাজগণের প্রতিষ্ঠা। ফলতঃ, চন্দ্র-গুপ্তের প্রতিষ্ঠার মূলে যেমন জৈনধৰ্ম্মের উন্মাদনা, অশোকের প্রতিষ্ঠার মূলে যেমন বৌদ্ধধৰ্ম্মের অনুপ্রেরণা, আবার পুষ্পমিত্রের প্রভাবের মূলে যেমন ব্ৰাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের উত্তেজনা ; গুপ্ত-রাজগণের প্রতিষ্ঠার মূলেও তেমনি হিন্দুধৰ্ম্মের অনুপ্ৰাণনা বিদ্যমান ! 来源 来源 t চন্দ্র-গুপ্তের অভু্যদয়ে ধৰ্ম্ম-প্ৰতিষ্ঠা। কে তিনি-প্ৰায় শতবর্ষব্যাপী তমিস্রা-ঘোর উদ্ভিন্ন করিয়া, যিনি ভারতের ভাগ্যাকাশে ধ্রুবতারা ফুটাইয়া তুলিয়াছিলেন ? কে তিনি-যিনি ঘনঘটাচ্ছন্ন অন্ধতমিস্রা-রজনীতে ভারতের ভাগ্যাকাশে পূর্ণচন্দ্রের পূর্ণভাতি প্ৰস্ফুট করিয়াছিলেন ? কে তিনি-যিনি বিচ্ছিন্ন রাজ-শক্তিতে কেন্দ্রীভূত করিয়া ধৰ্ম্ম-রাজ্যের প্রতিষ্ঠায় ভারতের লুপ্ত-গৌরব পুনরুদ্ধাবে