পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डैलूलूडि। yy ধৰ্ম্মের গ্লানি বিদূরণে, বিচ্ছিন্ন রাজশক্তিকে কেন্দ্রীভূত করিয়াছিলেন-রাজচক্ৰবৰ্ত্তী চন্দ্ৰগুপ্ত । চন্দ্ৰগুপ্ত হইতেই মৌৰ্য-বংশের প্রতিষ্ঠা-চন্দ্ৰগুপ্ত হইতেই ভুরতের পূৰ্ব্ব-গৌরবের পুনৰ্ব্বিকাশ ! ধৰ্ম্ম-শক্তির প্রভাবেই চন্দ্ৰগুপ্ত যে ভারতে একছত্ৰ আধিপত্য বিস্তার করেন,-জৈনধৰ্ম্ম-প্রসঙ্গে তদ্বিষয় প্ৰখ্যাত হইয়াছে। ধৰ্ম্ম-শক্তির যে উন্মাদনায় চন্দ্ৰগুপ্ত সাম্রাজ্য প্ৰতিষ্ঠা করিয়া যান ; আর, যে ধৰ্ম্মপ্ৰাণতা-গুণে, সুশাসনে ও সুপালনে, রাজচক্ৰবৰ্ত্তী অশোক সেই সাম্রাজ্যকে অতি উন্নত-স্তরে প্রতিষ্ঠিত করেন ; তঁহাদের বংশধরগণের হৃদয়-ক্ষেত্রে ধৰ্ম্মের সে বীজ অঙ্কুরিত হইল না । সুতরাং ফল বিষময় ফলিল ! মৌৰ্য্য-সাম্রাজ্য ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হইয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন-রাজ্যে পৰ্য্যবসিত হইল। এমন কি, পরিশেষে মৌৰ্য্যগণ স্বদেশ হইতে বিতাড়িত হইলেন। বিভিন্ন রাজবংশের বিভিন্ন নৃপতি তখন বিচ্ছিন্ন ভারত-সাম্রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে আপনি আপন প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করিতে লাগিলেন। অশোকের পরবত্তী-কিবা মৌৰ্য-বংশীয়, কিবা অন্ধু-বংশীয়, কিবা কাঞ্চবংশীয়, কিবা শুঙ্গবংশীয়-কোনও বংশের কোনও নৃপতিই অশোকের সেই ধৰ্ম্মশক্তি আয়ত্ত করিতে সমর্থ হন নাই। সুতরাং তেজোদর্প ক্ৰমশঃ খৰ্ব্ব হইয়া আসিতে লাগিল ; বিপ্লবের পর বিপ্লবের ফলে, ষড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্রের প্রভাবে, বিদ্রোহের পর বিদ্রোহের সঙ্ঘটনে, এবং বৈদেশিকগণের পুনঃপুনঃ আক্রমণে, ভারতে অনাচার-উশৃঙ্খলার প্রবল বন্যা প্রবাহিত হইল। অশোকের বংশধরগণ বিভিন্ন ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হওয়ায়, কোনও ধৰ্ম্মেরই প্ৰতিষ্ঠা সংরক্ষিত হয় নাই। পুষ্পমিত্র সুযোগ বুঝিয়া ব্ৰাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের আশ্রয় গ্ৰহণ করেন। ব্ৰাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের বিজয়বৈজয়ন্তী উডগ্ৰীন করিয়া তিনি একবার বিচ্ছিন্ন রাজশক্তিকে কেন্দ্রীভূত করিতে সমর্থ হন। তাহাতেই পুষ্পমিত্রের রাজ্য প্রতিষ্ঠান্বিত হইয়াছিল। পুষ্পমিত্রের পর, বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রসার বৃদ্ধি করিয়া কনিক্ষ অমরত্ব লাভ করিয়াছিলেন । কিন্তু ধৰ্ম্মশক্তির অভাব হওয়ায় পরবত্তী রাজগণ হীনপ্ৰভ, হীনবল ও হতশ্ৰী হইয়া পড়েন। ফলে, ভারত বৈদেশিকের পদানত হয়। 豪 米 আবৰ্ত্তন-বিবৰ্ত্তন । ভারতের এই ঘোর দুর্দিনে, ভারতবাসীর করুণ আৰ্ত্তনাদে আর একবার যেন ভগবানের আসন টলিল ; আৰ্ত্তের আৰ্ত্তি-বিমোচনে, ধৰ্ম্মের গ্লানি-বিদূরণে, করুণাময় ভগবান আর একবার যেন দৃষ্টিপাত করিলেন। কুশন বা শক-বংশে কনিক্ষের অত্যুদয়-ভগবানেরই শুভপ্রেরণা বলিয়া মনে করিতে পারি। শকগণ -কিনিক্ষের পূর্বপুরুষগণ-বৈদেশিক-রূপে ভারতে আগমন করিলেও, কনিক্ষ ভারতকেই আপনার বলিয়া জ্ঞান করিয়াছিলেন । নচেৎ, ভারতের সামাজিক, নৈতিক, আর্থিক ও রাজনৈতিক অধঃপতনের দিনে, তিনি কদাচ প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিতে পারিতেন না। তঁহার ন্যায় ন্যায়নিষ্ঠ ধৰ্ম্মপ্ৰাণ নৃপতির আবির্ভাবে শকবংশ চিরস্মরণীয় হইয়া আছে। কনিক্ষের ধৰ্ম্মপ্রাণত্যায়, তাহার সুশাসন-সুপালনে, বৈষম্যে সাম্য স্থাপিত হয় ; ধৰ্ম্ম-রাজ্যের প্রতিষ্ঠায় তিনি দেশে শান্তি প্ৰতিষ্ঠিত করিতে সমর্থ হন। কনিক্ষের লোকান্তরের পর আবার কিন্তু বৈষম্য ঘটিল। কুশন-বংশের শেষ নৃপতি প্ৰথম ৰামদেবের রাজ্যকালের শেষভাগে আবার ভারতের অবনতির সুত্রপাত হইল। বাসুদেবের