সমস্যা-সমাধানে মান্দাসের লিপি। Sóግ আবার যদি আমরা চন্দ্ৰ-গুপ্তের রাজ্যের প্রারম্ভ হইতে কুমার-গুপ্তের রাজত্বের শেষ পৰ্যন্ত ১২৯ বৎসর ধরিয়া লই ; তাহা হইলে চারি পুরুষে চারি। জন নৃপতির প্রত্যেকের রাজ্যকাল গড়ে ৩২ বৎসর ৩ মাস নির্দিষ্ট হইতে পারে। এইরূপ গড় হিসাবে, উভয়বিধ গণনায় ২০ বৎসরের পার্থক্য দাড়ায় । এদিকে আবার, যদি কুমার-গুপ্তের রাজ্যাবসান পৰ্যন্ত গণনা না করা যায়, তাহা হইলে সান্ধী-ভূপের ৯৩ অব্দে দ্বিতীয় চন্দ্র-গুপ্তের রােজ্যাবসান নির্দেশ করিলেও সেই একই সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পারি। সে হিসাবে তিন জন নৃপতির রাজ্যকাল ৯৩ বৎসর, আবার প্রথম চন্দ্ৰ-গুপ্ত হইতে তিন পুরুষের রাজ্যকাল ১১৩ বৎসর। নিৰ্দ্ধারিত হয়। কিন্তু পশ্চিম-চালুক্য-বংশাবলির আলোচনায় এই গড় হিসাবে বর্ষ পরিমাণ অনেক दtफ्रिश्न शांध्न । ৯৩০ শক-সংবতে চালুক্য-নৃপতি পঞ্চম বিক্ৰমাদিতের রাজ্যকাল আরম্ভ হয়, এবং ১০৬০ শক-সংবতে তাহার পরিসমাপ্তি ঘটে। ইহা হইতে সিদ্ধান্ত হয়-তাহার পরবর্তী তৃতীয় পুরুষে তৃতীয় সোমেশ্বব্য বৰ্ত্তমান ছিলেন। ৯৩০ শক-সংবতে পঞ্চম বিক্ৰমাদিত্যের বয়স যদি ২০ বৎসর ধরা যায়, তাহা হইলে গড়ে চারি জন নৃপতির রাজ্যকালের পরিমাণ ১৫০ বৎসর হইতে পারে। সে মতে প্ৰতি জনের রাজ্যকাল ৩৭৷০ সাড়ে সাঁইত্রিশ বৎসর নির্দিষ্ট হয়। কিন্তু শাক-সংবৎ ৯৩০ হইতে ১০৩০ শক-সংবতের মধ্যে ছয়টি রাজার রাজ্যকালের পরিচয় পাই। তাহতে ১৫০ বৎসর পুরণে প্ৰতি জনের রাজ্যকাল ২৫ বৎসর নির্দিষ্ট হইতে পারে। কিন্তু এ হিসাবে গুপ্ত-বংশের প্রথম চারি। জন নৃপতির প্রত্যেকের রাজ্যকালের সহিত প্ৰায় সাত বৎসরের পার্থক্য দাড়াইয়া যায়। তার পর, ৮৯৫ শক-সংবতে দ্বিতীয় তৈলের রাজত্ব হইতে আরম্ভ করিয়া ১০৮৪ শক-সংবতে তৃতীয় তৈলের লোকান্তর। পৰ্য্যন্ত পশ্চিম চালুক্য-রাজবংশের রাজ্যকাল-১৯০ বৎসর। এই সময়ের মধ্যে পশ্চিম চালুক্য-বংশের দশ জন রাজার পরিচয় পাই। তাহা হইলে, হিসাবে প্ৰত্যেকের রাজ্যকাল গড়ে ১৯ বৎসর হয় । 哆 ফ্রিােটর সিদ্ধান্তক্ৰমে, পূর্বোক্ত চালুক্য-বংশীয় নৃপতিগণের হিসাবে, চারি জন নৃপতির প্ৰত্যেকের ৩২ বৎসর রাজ্যকাল সম্ভবপর নহে। সুতরাং প্রথম চন্দ্ৰ-গুপ্তের রাজ্যকাল হইতে যে গুপ্তকাল-গণনার সূচনা হয় নাই, পরন্তু গুপ্ত-বংশীয় আদি-নৃপতিগণ অন্য কোনও বংশের অব্দ বা কাল পরিগ্রহণ করিয়াছিলেন,-ফ্রিটের মতে তাঁহাই সিদ্ধান্তিত হয়। 棒 普 আভ্যন্তরিণ প্ৰমাণ । গুপ্ত-বংশের আদি-নৃপতিগণ প্রথমতঃ সামন্ত-নৃপতি ছিলেন। এই বংশের তৃতীয় নৃপতি প্রথম চন্দ্ৰ-গুপ্ত সৰ্বপ্রথম স্বাধীনতা অবলম্বন করেন। মহারাজ গুপ্ত হইতে কুমারগুপ্ত পৰ্যন্তগুপ্ত-বংশের প্রথম দুই জন সামন্ত এবং তৎপরবর্তী চারি জন নৃপতি স্বাধীন। প্ৰত্যেকের রাজ্য কাল গড়ে ২০ বৎসর হিসাবে গণনা করিলে, ৩২৩ খৃষ্টাব্দে মহারাজ গুপ্তের রােজ্যাকালের প্রারম্ভ বিীকৃত হইতে পায়ে ।
