পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 স্বাভািৱত কৰি । প্রিন্সেপেরা মতে নেওয়ার অব্দ অক্টোবর মাসে আরম্ভ হয়। ৮৭৯-৮০ খৃষ্টাব্দে তাহার সূচনা, ৮৮০-৮১ খৃষ্টাব্দে গণনারম্ভ এবং ৯৫১ অব্দে বা ১৮৩১ খৃষ্টাব্দে তাহায় পরিসমাপ্তি । কাৰ্ত্তিক মাসের শুক্লপ্ৰতিপদ তিথি হইতে সে অব্দ-গণনার আরম্ভ। নেওয়ার অব্দের আদি অনুসন্ধানে প্ৰতিপন্ন হয়,-অংশুবৰ্ম্মণের প্রতিষ্ঠিত দ্বিতীয় ঠাকুরী বংশের জয়দেবমল্ল এই নেওয়ার অব্দের প্রতিষ্ঠা করেন। নেপালের সুপ্ৰসিদ্ধ “বংশাৰলি” গ্রন্থে ইহার বিস্তৃত বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে। বংশাবলীতে’ আর একটী বিষয় দৃষ্ট হয়। তাহা কর্ণাটক-বংশের প্রতিষ্ঠা-মূলক। কথিত নেওয়ার অব্দের নবম বৎসরে, শ্রাবণ মাসে, শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথিতে, ৮১১ শক-সংবতে অর্থাৎ ৮৮৯-৯০ খৃষ্টাব্দে, জয়দেবমল্প এবং তঁহার কনিষ্ঠ ভ্ৰাতা আনন্দমল্লের রাজত্বকালে, দক্ষিণ দেশ হইতে নান্যদেব আগমন করিয়া সমগ্ৰ নেপাল অধিকার করেন। তিনি কর্ণাটক বংশের প্রতিষ্ঠা করিয়া নেপালে অধিষ্ঠিত হন। Di BBBDBB SMgBD DBSYDDBBDSDBDDBDDBDDDDD BB DDBBDS SDD S SBB ক্রমশঃ নেপালেব সিংহাসন অধিকার করেন। তঁহার বংশধরগণ পাচ পুৰুষ নেপালে প্ৰতিষ্ঠিত ছিলেন। নান্যদেব সংক্রান্ত উপাখ্যান সম্বন্ধে অনেকেই অনেক সংশয় প্রশ্ন উত্থাপন করিয়া থাকেন। কিন্তু কৰ্ণাটক অব্দ প্ৰতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে অব্দ গণনার পদ্ধতিতে পরিবর্তন সাধন প্রভৃতি বিষয়ে কাহারও মতবিরোধ দৃষ্ট হয় না। কারণ, নেপালে বহুদিন পৰ্যন্ত সে অব্দ গণনা প্রচলিত ছিল। অধুনা পূৰ্ব্বোক্ত নূতন অব্দের যে কালাদি প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহাতে কাৰ্ত্তিক মাসের শুক্ল প্ৰতিপদ হইতে তাহার প্রারম্ভ প্ৰতিপন্ন হইয়া থাকে। “বংশবলিতে’ নিম্নোক্ত কাল-পরিচয় পরিদৃষ্ট হয় ; যথা,-নান্যদেবের সাময়িক নেপাল ংবৎ ৯ = ৮১১ শক গতাব্দ ;-শ্রাবণ মাসে শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথিতে উহার আরম্ভ। আবার ভাটগাঙেব সূৰ্য স্বামী বংশান্তৰ্গত প্ৰথম হরিসিংহদেবের সাময়িক নেপাল সংবৎ ৪৪৪ = ১২৪৫ শাক গতাব্দ। উভয়ত্ৰই যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। তাহাতে এক স্থলে ৮০২ বৎসবের এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ৮০১ বৎসরের ব্যবধান হয়। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ তাই কথিত আব্দের এবং শকাব্দের গণনাপ্ৰণালীর পার্থক্যের বিষয় প্ৰতিপন্ন করিয়া থাকেন। মিষ্টার প্রিন্সেপ এবং ডক্টর ভগবান-লাল ইন্দ্ৰাজির সিদ্ধান্ত-ক্ৰমে কাৰ্ত্তিক মাসের শুক্ল প্ৰতিপদ তিথি হইতে ঐ সকল অব্দের আরম্ভ এবং দক্ষিণ-ভারতের বিক্রম অব্দের গণনা-প্ৰণালীর অনুসরণে অব্দ-সমূহের গণনা স্থিরীকৃত হয়। 来源 গণনা-প্ৰণালীর তুলনায়। এতৎপ্রসঙ্গে পক্ষাদি গণনার প্রণালী প্ৰধান বিচাৰ্য্য। পণ্ডিতগণ বলেন,-দক্ষিণ ভারতীয় বিক্রমাব্দের অনুসরণে নেপালের অব্দ-গণনা-প্ৰণালী পরিগৃহীত হইলেও, উত্তর ভারতের পূর্ণিমান্ত গণনা-পদ্ধতি সে অব্দ গণনায় প্রধান স্থান অধিকার করিয়াছিল। কিন্তু প্ৰকৃত তথ্য অন্যরূপ। সে গণনায় যে দক্ষিণ ভারতীয় ‘অমান্ত” গণনা-পদ্ধতিই সংরক্ষিত হইয়াছিল, আলোচনায় তাহাই সিদ্ধান্তিত হয়। ‘সিদ্ধি নৃসিংহ’। লিপির প্রসঙ্গে