পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. س- سمس سطحسنح= SO4− v':Riks ৪ । মহারাজাধিরাজ সমুদ্রগুপ্তের সহধৰ্ম্মিণী মহাদেবী দত্তদেবীর গর্ভজাত, অপ্ৰতিরথ পরমভাগবত মহারাজাধিরাজ চন্দ্ৰ-গুপ্তের পাদানুধ্যায়ী মহাদেবী ধ্রুবদেবীর গর্ভোৎপন্ন পরমভাগবত মহারাজাধিরাজ সুপ্ৰসিদ্ধ কুমার-গুপ্তের ৬-৯ । পুত্ৰ প্ৰথিতযশা প্ৰভূতপ্ৰজ্ঞ পিতৃপাদপদ্মাসুগামী অমিততেজ গুপ্তবংশাবতংস। গুপ্তবংশৈকিবীর বিপুলধাম ভুজবলোদ্ভিন্ন শক্ৰ মহারাজাধিরাজ স্কন্দ-গুপ্তের ( উৎকীর্ণ)। সেই স্কন্দগুপ্ত পরাক্রান্ত শক্রির উচ্ছেদসাধন করিয়াছিলেন ; সচ্চরিত্রে এবং কুটরাজনৈতিক কৰ্ম্মকুশলতায় তিনি একে একে আপনায় অভীষ্ট-সাধনে সমর্থ হইয়াছিলেন। ১০-১৪ । বিচলিতকুললক্ষ্মীস্তম্ভনোন্তত অৰ্থাৎ বংশের হীনগৌরব পুনরুদ্ধারে ব্ৰতী হইয়া তিনি তিন রাত্রি ভূমিশয্যা গ্ৰহণ করিয়াছিলেন এবং পুস্থ্যমিত্ৰাদিগকে পরাভূত করিয়া ’প্ৰভূত শক্তি-সামৰ্থ্য অর্জন করিয়া, ক্ষিতিপচারণপৃষ্ঠে আপনার বামপদ স্থাপন করিয়াছিলেন। তঁহার বিমল যশোগীতি আবালবৃদ্ধবনিতা গান করিত। ১৫-১৬ । তিনি যখন হুনদিগের সহিত যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন, তখন তঁহার ভুজাকস্থল পৃথিবী প্ৰকম্পিত হইয়াছিল। তঁহার অন্ত্রের বাঞ্চনা গঙ্গা-গর্জনধ্বনির ন্যায় প্ৰতীয়মান হইতেছিল । ১৭-১৮। সেই সুপ্ৰসিদ্ধ স্কন্দগুপ্ত শাঙ্গাঁর এই মূৰ্ত্তি প্ৰতিষ্ঠিত করেন। তঁহার পিতৃকীৰ্ত্তি পুনরুদ্দীপনার্থ দেবতার নামে তিনি এই জনপদ উৎসর্গ করিলেন। ১৯ । সেইজন্য পিতার ধৰ্ম্মপ্রণতার নিদৰ্শন-স্বরূপ পুণ্যাত্মা মহারাজাধিরাজ এই দেবমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত কবিয়া, জনপদাদি দেবতার নামেও উৎসর্গ করিলেন। 米... 本 মানকুয়ার লিপি । মানকুয়ার এই লিপি কুমার-গুপ্তের রাজত্ব-কালে উৎকীর্ণ হইয়াছিল,-লিপিতেই তাহা প্ৰকাশ আছে। লিপির মধ্যে “মহারাজ” বিশেষণ দৃষ্ট হয়। অনেকের সিদ্ধান্ত,-তখন শ্বেতহুনদিগের আক্রমণে কুমার-গুপ্তের বাজ্য বিচ্ছিন্ন হইয়াছে। তাই “মহারাজাধিরাজ” উপাধির পরিবর্তে র্তাহার ‘মহারাজা” উপাধি সন্নিবিষ্ট । প্ৰতিবাদে কেহ কেহ বলেন,-এ লিপি গুপ্ত-বংশের কুমার-গুপ্তের নহে ; কুমারগুপ্ত নামে অন্য কোনও করদ-নৃপতি ইহার প্রবর্তক। কিন্তু আলোচনায় কুমার-গুপ্ত নামধেয় কোনও করদ-নৃপতির পরিচয়, মুদ্রায় বা লিপিতে প্ৰাপ্ত হই না। লিপির মধ্যে যে কালের উল্লেখ আছে, সে কাল-কুমার-গুপ্তের রাজ্যকালকেই নির্দেশ করে। সুতরাং “মহারাজা” উপাধি যে কুমার-গুপ্তকেই নির্দেশ করে, তাহাতে সন্দেহ নাই। তবে এই ‘মহারাজা” উপাধি হইতে দুইটা ভাব মনে আসে। এক ভাবে-কুমার-গুপ্তের অপ্ৰতিষ্ঠার বা প্ৰতিষ্ঠাহীনতার পরিচয় পাই ; অন্য ভাবে-হনগণের এবং পুষ্পমিত্রের নিকট কুমারগুপ্তের পরাজয়-স্বীকারের আভাস পাই। বিখ্যারি লিপিতে এ বিষয় বিশেষভাবে উল্লিখিত হইয়াছে। লিপিটী৷ কুমার-গুপ্তের রাজত্বের শেষভাগে উৎকীর্ণ বলিয়া মনে হয়।