পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rh-R ভারতবর্ষ । পুত্রের বিজয়-লাভ দেখিয়া যাইতে পারেন নাই। বিজয়-লাভের সংবাদ পাইবার পুর্বেই তিনি লোকান্তর গমন করেন। ১৩৬ গুপ্তাব্দি = ৪৫৫ খৃষ্টাব্দে স্কন্দ-গুপ্ত রাজ্য-প্ৰাপ্ত হন। 崇 嵌 বিজিত শক্ৰগণ । স্কন্দ-গুপ্ত যে সকল শত্রুর সহিত যুদ্ধে ব্যাপৃত হইয়াছিলেন, তাহদের মধ্যে পুষ্যমিত্ৰগণ এবং হনগণই প্ৰধান। পুষ্যমিত্ৰ-গণের পরিচয় লিপিতে পাই না। বিষ্ণু-পুরাণে পুষ্পমিত্রদিগের নাম দেখিতে পাই। তাই মনে হয়,--তাহারই লিপিতে উক্ত – পুষ্যমিত্র। সম্ভবতঃ তাহারা করদ ছিল। কুমার-গুপ্তের রাজত্বের শেষভাগে তাহারা স্বাধীনতা অবলম্বনে প্ৰয়াস পায় । হৰ্ণেলের মতে পুষ্যমিত্ৰগণ-মৈত্রকদিগের সহিত অভিন্ন হয়। তাহদের প্রধান স্থানীয় ভট্টারক বল্লভী-বংশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। জুনাগড় লিপিতে যাহাবা ‘ম্নেচ্ছ’ নামে অভিহিত, হৰ্ণেলের মতে তাহদেরও ‘পুষ্যমিত্ৰ” নামে পরিচিত হওয়াব সম্ভাবনা ৷ হুন-গণ হয় তো ‘মৈত্রক’ নামে অভিহিত হইত। যাহা হউক, হুন এবং শ্লেচ্ছ এক জাতির মধ্যে গণ্য হইলে, ৪৫৫ হইতে ১৮৮ খৃষ্টাব্দেব মধ্যে তাহদেব ভারত-প্ৰবেশ সপ্ৰমাণ হয় । 光 姆 事 সুশাসনের নিদর্শন । জুনাগড় লিপিতে নষ্টরাজ্য পুনৰুদ্ধাবের এবং স্কন্দ-গুপ্তের প্রজা-বাৎসল্যের পরিচয পাই । তঁহার আদেশে সুদৰ্শন-হ্রদের সংস্কার-কাৰ্য্য সাধিত হয় । চক্ৰপালিতের তত্ত্বাবধানে হ্রদেব বঁধ সংস্কৃত হইয়াছিল। স্কন্দ-গুপ্তেব অধীনে চক্ৰপালিত সৌরাষ্ট্রের শাসনকৰ্ত্তা নিযুক্ত হইয়াছিলেন। স্কন্দ-গুপ্তের যশোভাতি মেচ্ছ-দেশেও বিস্তৃত হইয়াছিল । লিপিতে প্ৰকাশ,-স্কন্দ-গুপ্ত সমগ্ৰ পৃথিবী জয় করিয়াছিলেন। তখন বৈদেশিক জাতির উপদ্রব এত অধিক হইয়াছিল যে, বাজ্য-সীমা সংরক্ষণের জন্য স্কন্দ-গুপ্ত বিশেষ চিন্তাকুল হইয়া পড়িয়াছিলেন,-জুনাগড় লিপির “সৰ্ব্বেষু দেশেষুবিধায় গোপ্ত না বাক্যে তাহা বেশ উপলব্ধ হয়। স্কন্দ-গুপ্ত প্ৰজারঞ্জক ছিলেন, তঁাহার বাজত্বে প্ৰজাগণ সুখ-শাস্তিতে বাস করিত-“কাহাউম লিপি” তাহার নিদর্শন। সেখানে স্কন্দ-গুপ্ত ইন্দ্রের সহিত উপমিত হইয়াছেন। যথা,- “গুপ্তানাং বংশ যন্ত প্ৰবিসুত যশসস্তস্য সর্বোত্তমাৰ্ঘো: রাজ্যে শক্ৰোপমস্ত ক্ষিতিপশতপতেঃ স্কন্দ-গুপ্তস্য শাস্তে রাজ্যে ।” 张 谦 将 লোকান্তরে । প্ৰায় দেড় শত বৎসর গুপ্ত-নৃপতি-গণের প্রতিষ্ঠা-গৌরব তুঙ্গ-শৃঙ্গে আরোহণ করিয়া ছিল। এই সময়ের মধ্যে ভারতের বিবিধ-বিষয়িণী উন্নতির পরিচয় প্ৰাপ্ত হই । প্ৰথম কুমার-গুপ্তের লোকান্তরের পর হইতেই গুপ্ত-বংশের গৌরব-রবি অস্তমিত হইতে থাকে ;-ভারতের ভাগ্যাকাশে অন্ধকারের সুচনা হয়। কুমার-গুপ্তেব রাজত্বের শেষভাগে পুষ্যমিত্ৰগণ গুপ্ত-সাম্রাজ্য আক্রমণ করে। সেই আক্রমণের ফলে গুপ্ত-বংশের ভিত্তি টলায়মান হয়। স্কন্দ-গুপ্তের বিপুল প্ৰয়াসে শত্রু পরাজিত হয়। বংশের প্রতিষ্ঠা অক্ষুণ থাকে।